হাদীসের মৌলিক জ্ঞান-১
হাদীসের পরিচয়ঃ
হাদীসের সংজ্ঞাঃ রাসূল (সা.)-এর কথা, কাজ এবং মৌন সম্মতিকে হাদীস বলে ।
আছারের সংজ্ঞাঃ সাহাবীদের কথা ও কাজকে আছার বলে ।
হাদীস পরীক্ষা- নিরীক্ষার পদ্ধতি ২টি; যথা-
১.রেওয়ায়াত ২ দেরায়াত
* রেওয়ায়াত: রেওয়ায়াত হলো সনদের সাথে সম্পৃক্ত । একটি হাদীসের সনদে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গের গ্রহনযোগ্যতা বা অগ্রহনযোগ্যতা পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে হাদীসটির স্থান নির্ধারণ করার নামই হলো রেওয়ায়াত পদ্ধতিতে হাদীসের মূল্যায়ন।
* দেরায়াত: দেরায়াত অর্থ- অন্তর্দৃষ্টি ও অভিজ্ঞান। তবে কেবলমাত্র এমন লোকদের দেরায়াত গ্রহণযোগ্য হবে যাঁরা কুরআন,হাদীস ও ইসলামী ফিকহের অধ্যয়ন ও চর্চায় নিজেদের উল্লেখযোগ্য অংশ কাটিয়েছেন এবং এর ফলে তাদের মধ্যে অধ্যাবসায় ও অনুশীলনের এক বিশেষ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞার সৃষ্টি হয়েছে এবং যাঁদের জ্ঞান-বুদ্ধিতে ইসলামী চিন্তা ও কর্ম ব্যবস্থার পরিসীমার বাইরের মতবাদ,মূলনীতি ও মূল্যবোধ গ্রহণ করে ইসলামী ঐতিহ্যকে ঐগুলোর মানদন্ডে পরখ করার ঝোঁক প্রবণতা নেই ।
হাদীসের সংজ্ঞাঃ রাসূল (সা.)-এর কথা, কাজ এবং মৌন সম্মতিকে হাদীস বলে ।
আছারের সংজ্ঞাঃ সাহাবীদের কথা ও কাজকে আছার বলে ।
হাদীস পরীক্ষা- নিরীক্ষার পদ্ধতি ২টি; যথা-
১.রেওয়ায়াত ২ দেরায়াত
* রেওয়ায়াত: রেওয়ায়াত হলো সনদের সাথে সম্পৃক্ত । একটি হাদীসের সনদে উল্লেখিত ব্যক্তিবর্গের গ্রহনযোগ্যতা বা অগ্রহনযোগ্যতা পরীক্ষা- নিরীক্ষা করে হাদীসটির স্থান নির্ধারণ করার নামই হলো রেওয়ায়াত পদ্ধতিতে হাদীসের মূল্যায়ন।
* দেরায়াত: দেরায়াত অর্থ- অন্তর্দৃষ্টি ও অভিজ্ঞান। তবে কেবলমাত্র এমন লোকদের দেরায়াত গ্রহণযোগ্য হবে যাঁরা কুরআন,হাদীস ও ইসলামী ফিকহের অধ্যয়ন ও চর্চায় নিজেদের উল্লেখযোগ্য অংশ কাটিয়েছেন এবং এর ফলে তাদের মধ্যে অধ্যাবসায় ও অনুশীলনের এক বিশেষ পর্যায়ের অভিজ্ঞতা ও প্রজ্ঞার সৃষ্টি হয়েছে এবং যাঁদের জ্ঞান-বুদ্ধিতে ইসলামী চিন্তা ও কর্ম ব্যবস্থার পরিসীমার বাইরের মতবাদ,মূলনীতি ও মূল্যবোধ গ্রহণ করে ইসলামী ঐতিহ্যকে ঐগুলোর মানদন্ডে পরখ করার ঝোঁক প্রবণতা নেই ।
হাদীসের
মৌলিক বিষয় সমূহঃ
* সনদঃ হাদীস বর্ণনার ধারাবাহিকতাকে সনদ বলে ।
* মতনঃ হাদীসের মূল অংশকে মতন বলে ।
* রাবীঃ হাদীস বর্ণনাকারীকে রাবী বলে ।
* আদালতঃ সেই সুদৃঢ় শক্তি,যার দ্বারা দ্বীনের উপর অটল ও অবিচল থেকে খোদাভীরুতা ও মনুষ্যত্ব অবলম্বন করতে এবং অন্যায় আচরণ থেকে বিরত থাকতে উদ্বুদ্ধ করে ।
* যবতঃ যে শক্তির মাধ্যমে মানুষ শ্রুত বা লিখিত বিষয়কে বিস্মৃতি ও বিনাশ থেকে সংরক্ষণ করতে পারে এবং যখনই ইচ্ছা করে তখনই হুবহু সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে ।
* মুদাল্লিছঃ গোপন করা । হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে যিনি কোন কিছু গোপন করে একটা অস্পষ্টতা ও অন্ধকারের সৃষ্টি করেন তিনিই হলেন মুদাল্লিছ ।
* ছিকাঃ যে রাবীর মধ্যে ন্যায় পরায়ণতা,স্মৃতি শক্তি,সংরক্ষণ শক্তি এবং হুবহু প্রকাশ শক্তি বিদ্যমান আছে, তাকে ছিকা রাবী বলে ।
* সনদঃ হাদীস বর্ণনার ধারাবাহিকতাকে সনদ বলে ।
* মতনঃ হাদীসের মূল অংশকে মতন বলে ।
* রাবীঃ হাদীস বর্ণনাকারীকে রাবী বলে ।
* আদালতঃ সেই সুদৃঢ় শক্তি,যার দ্বারা দ্বীনের উপর অটল ও অবিচল থেকে খোদাভীরুতা ও মনুষ্যত্ব অবলম্বন করতে এবং অন্যায় আচরণ থেকে বিরত থাকতে উদ্বুদ্ধ করে ।
* যবতঃ যে শক্তির মাধ্যমে মানুষ শ্রুত বা লিখিত বিষয়কে বিস্মৃতি ও বিনাশ থেকে সংরক্ষণ করতে পারে এবং যখনই ইচ্ছা করে তখনই হুবহু সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পারে ।
* মুদাল্লিছঃ গোপন করা । হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে যিনি কোন কিছু গোপন করে একটা অস্পষ্টতা ও অন্ধকারের সৃষ্টি করেন তিনিই হলেন মুদাল্লিছ ।
* ছিকাঃ যে রাবীর মধ্যে ন্যায় পরায়ণতা,স্মৃতি শক্তি,সংরক্ষণ শক্তি এবং হুবহু প্রকাশ শক্তি বিদ্যমান আছে, তাকে ছিকা রাবী বলে ।
হাদীসের প্রকারভেদঃ
* হাদীস প্রধানত দুই প্রকারঃ যথা- ১. মাকবুল, ২. মারদুদ
১. মাকবুলঃ হাদীসে মাকবুল ঐ রেওয়ায়াতকে বলা হয় যার সনদে হাদীস গ্রহণযোগ্য হওয়ার শর্তাবলী পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান থাকে ।
২. মারদুদঃ যে রেওয়ায়াতে ঐ শর্তাবলী পুরো মাত্রায় বিদ্যমান না থাকে তাকে মারদুদ বলা হয় ।
মাকবুল হাদীস ২ প্রকারঃ ১. সহীহ ২. হাসান । এরা প্রত্যেকে আবার ২ ভাগে বিভক্ত ।
* হাদীস প্রধানত দুই প্রকারঃ যথা- ১. মাকবুল, ২. মারদুদ
১. মাকবুলঃ হাদীসে মাকবুল ঐ রেওয়ায়াতকে বলা হয় যার সনদে হাদীস গ্রহণযোগ্য হওয়ার শর্তাবলী পূর্ণমাত্রায় বিদ্যমান থাকে ।
২. মারদুদঃ যে রেওয়ায়াতে ঐ শর্তাবলী পুরো মাত্রায় বিদ্যমান না থাকে তাকে মারদুদ বলা হয় ।
মাকবুল হাদীস ২ প্রকারঃ ১. সহীহ ২. হাসান । এরা প্রত্যেকে আবার ২ ভাগে বিভক্ত ।
সুতরাং
মাকবুল হাদীস সর্বমোট ৪ ভাগে বিভক্ত।
১. সহীহ লি-যাতিহী (সনদ মুত্তাসিল,রাবী আদিল,হাদীসটি শায ও মুয়াল্লাল নয়) ।
২. হাসান লি-যাতিহী (যার উৎস সর্বজন জ্ঞাত,রাবীগণ সুপ্রসিদ্ধ,যার উপর অধিকাংশ হাদীসের ভিত্তি স্থাপিত,অধিকাংশ আলেম গ্রহণ করে নিয়েছেন,ফকিহগণ দলিল হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন) ।
১. সহীহ লি-যাতিহী (সনদ মুত্তাসিল,রাবী আদিল,হাদীসটি শায ও মুয়াল্লাল নয়) ।
২. হাসান লি-যাতিহী (যার উৎস সর্বজন জ্ঞাত,রাবীগণ সুপ্রসিদ্ধ,যার উপর অধিকাংশ হাদীসের ভিত্তি স্থাপিত,অধিকাংশ আলেম গ্রহণ করে নিয়েছেন,ফকিহগণ দলিল হিসেবে গ্রহণ করে থাকেন) ।
৩. সহীহ লি-গাইরিহী (কোন রাবীর মধ্যে যদি স্মরণশক্তির দুর্বলতা থাকে এবং অন্যান্য হাদীসের
মাধ্যমে যদি তা দূরিভূত হয়) ।
৪. হাসান লি-গাইরিহী (যদি কোন দুর্বল (যইফ) হাদীস বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়ে বর্জনের স্তর হতে গ্রহনের মর্য়াদা লাভ করে,তবে হাদীসটি যইফ হওয়ার কারণ রাবীর ফিছক বা মিথ্যাচার নয় ) ।
৪. হাসান লি-গাইরিহী (যদি কোন দুর্বল (যইফ) হাদীস বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়ে বর্জনের স্তর হতে গ্রহনের মর্য়াদা লাভ করে,তবে হাদীসটি যইফ হওয়ার কারণ রাবীর ফিছক বা মিথ্যাচার নয় ) ।
* সংজ্ঞা ভিত্তিক হাদীস তিন প্রকারঃ
১.ক্বাওলীঃ রাসূল (সঃ)-এর কথাকে ক্বাওলী হাদীস বলে ।
২. ফে’লীঃ রাসূল (সঃ) বাস্তব জীবনের কাজকে ফে’লী হাদীস বলে ।
৩. তাক্বরিরী রাসূল (সঃ)- এর মৌন সম্মতিকে ত্বাকরিরী হাদীস বলে
রাবীর সংখ্যার দিক থেকে হাদীস দুই প্রকারঃ
১. হাদীসে মুতাওয়াতিরঃ
সেই হাদীস প্রত্যেক যুগেই যার বর্ণনাকারীর সংখা এত বেশি যে,তাদের
মিথ্যাচারে মতৈক্য হওয়া স্বাভাবিক ভাবেই অসম্ভব
২. হাদীসে আহাদঃ ঐ হাদীস,যার
বর্ণনাকারী মুতাওয়াতির পর্যাযয়ে পৌঁছায়নি ।
* হাদীসে আহাদ আবার তিন প্রকারঃ
১. মাশহুরঃ হাদীসের বর্ণনাকারী সাহাবীর পরে কোন যুগেই বর্ণনাকারীর সংখ্যা তিনের কম ছিলনা ।
২. আজীজঃ যার বর্ণনাকারীর সংখ্যা কোন যুগেই দুই এর কম ছিলনা
৩. গরীবঃ যার বর্ণনাকারীর সংখ্যা কোন কোন যুগে এক জনে পৌঁছেছে
১. মাশহুরঃ হাদীসের বর্ণনাকারী সাহাবীর পরে কোন যুগেই বর্ণনাকারীর সংখ্যা তিনের কম ছিলনা ।
২. আজীজঃ যার বর্ণনাকারীর সংখ্যা কোন যুগেই দুই এর কম ছিলনা
৩. গরীবঃ যার বর্ণনাকারীর সংখ্যা কোন কোন যুগে এক জনে পৌঁছেছে
*রাবীদের সিলসিলা বা সনদের দিক থেকে হাদীস তিন প্রকারঃ
১. মারফুঃ যে হাদীসের বর্ণনাসূত্র রাসূল (সা.) পর্যন্ত পৌঁছেছে ।
২. মাওকুফঃ যে হাদীসের বর্ণনাসূত্র সাহাবা পর্যন্ত পৌঁছেছে ।
৩. মাকতুঃ যে হাদীসের বর্ণনাসূত্র তাবেয়ী পর্যন্ত পৌঁছেছে ।
* রাবী বাদ পড়ার দিক থেকে হাদীস দুই প্রকারঃ
১. মুত্তাসিলঃ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত যে হাদীসের রাবী সংখ্যা অুক্ষুন্ন রয়েছে, কখনো কোন রাবী উহ্য থাকে না, এরুপ হাদীসকে মুত্তাসিল হাদীস বলে ।
২. মুনকাতিঃ যে হাদীসের বর্ননাকারীদের ধারাবাহিকতা অুক্ষুন্ন না থেকে মাঝখান থেকে উহ্য রয়েছে এরুপ হাদীসকে হাদীসে মুনকাতি বলে
* মুনকাতি হাদীস আবার তিন প্রকারঃ
১. মুয়াল্লাকঃ যে হাদীসের সনদের প্রথম থেকে কোন বর্ণনাকারী উহ্য হয়ে যায় কিংবা গোটা সনদ উহ্য থাকে ।
২. মু’দালঃ যে হাদীসে ধারাবাহিকভাবে দুই বা তদোর্ধ বর্ণনাকারী উহ্য থাকে।
৩. মুরসালঃ যে হাদীসের বর্ণনাসূত্রে তাবেয়ী এবং হুজুর (সা.) এর মাঝখানে সাহাবী রাবীর নাম উহ্য হয়ে যায় ।
* ত্রুটিপূর্ণ বর্ণনার দিক থেকে হাদীস দুই প্রকারঃ
১. শাযঃ যে হাদীসের বর্ণনাকারী বিশ্বস্ত কিন্তু তার চেয়ে অধিক বিশ্বস্ত রাবীর বর্ণনার বিপরীত ।
২. মুয়াল্লালঃ যে হাদীসের বর্ননাসূত্রে এমন সূক্ষ ত্রুটি থাকে,যা কেবল হাদীস শাস্ত্রের বিশেষজ্ঞরাই পরখ করতে পারেন ।
* রাবীর গুণ অনুযায়ী হাদীস তিন প্রকারঃ
১. সহীহ হাদীসঃ যে হাদীস মুত্তাসিল সনদ (অবিচ্ছিন্ন বর্ণনাসূত্র) বিশিষ্ট, বিশ্বস্ত ও নির্ভর যোগ্য রাবী,রাবী স্বচ্ছ স্মরণ শক্তি সম্পন্ন এবং হাদীসটি শায ও মুয়াল্লাল নয় ।
২. হাসানঃ স্বচ্ছ স্মরণ শক্তি
ব্যতীত সহীহ হাদীসের সমস্ত বৈশিষ্ট্যই যার মধ্যে বিদ্যমান।
৩. জয়ীফঃ যে হাদীসে ছহীহ হাদীছের সকল কিংবা কোন কোনটার উল্লেখযোগ্য একটি থাকে তাকে জয়ীফ হাদীস বলে।
৩. জয়ীফঃ যে হাদীসে ছহীহ হাদীছের সকল কিংবা কোন কোনটার উল্লেখযোগ্য একটি থাকে তাকে জয়ীফ হাদীস বলে।
* হাদিসে নববীঃ হাদীসে কুদসী ব্যতীত সকল হাদীস ।
* শাইখঃ হাদীসের শিক্ষককে শাইখ বলে ।
* মুহাদ্দিসঃ সনদ মতন সহ হাদীস চর্চাকারী ও গভীর জ্ঞান সম্পন্ন ব্যক্তি ।
* হাফিজঃ সনদ মতন সহ এক লক্ষ হাদীস আয়ত্বকারী ।
* হুজ্জাতঃ সনদ মতন সহ তিন লক্ষ হাদীস আয়ত্বকারী ।
* হাকিমঃ সনদ মতন সহ সমস্ত হাদীস আয়ত্বকারী ।
* বেশি হাদীস বর্ণনাকারীঃ
পুরুষদের মধ্যে - হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) (৫৩৭৪)
মহিলাদের মধ্যে - হযরত আয়েশা (রাঃ) (২২১০)
পুরুষদের মধ্যে - হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) (৫৩৭৪)
মহিলাদের মধ্যে - হযরত আয়েশা (রাঃ) (২২১০)
জাল হাদীস সংক্রান্ত কথাঃ-
মওদু বা জাল হাদীস হচ্ছে সেই হাদীস যে হাদীসের মধ্যে সনদের বর্ণনাকারীদের সংখ্যা অন্তত কোন এক স্তরে একজন রাবী এমন আছে যাকে মিথ্যাবাদী বলে চিহ্নিত করা যায় । রাসূল (সাঃ) যে কথা বলেননি সে কথাকে তাঁর নামে চালিয়ে দেওয়া মারাত্মক অপরাধমূলক কাজ । এর পরকালীন পরিণাম নিশ্চিত জাহান্নাম । রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন “মান কাজ্জাবা আলাল মুতায়াম্মেদান ফাল এতাবায়য়ায়ূ মাকআদাহু মিনান নার”-‘যে ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করল সে যেন জাহান্নামে তার বসার স্থানটি খুজেঁ নেয়’।
মওদু বা জাল হাদীস হচ্ছে সেই হাদীস যে হাদীসের মধ্যে সনদের বর্ণনাকারীদের সংখ্যা অন্তত কোন এক স্তরে একজন রাবী এমন আছে যাকে মিথ্যাবাদী বলে চিহ্নিত করা যায় । রাসূল (সাঃ) যে কথা বলেননি সে কথাকে তাঁর নামে চালিয়ে দেওয়া মারাত্মক অপরাধমূলক কাজ । এর পরকালীন পরিণাম নিশ্চিত জাহান্নাম । রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন “মান কাজ্জাবা আলাল মুতায়াম্মেদান ফাল এতাবায়য়ায়ূ মাকআদাহু মিনান নার”-‘যে ইচ্ছাকৃতভাবে আমার প্রতি মিথ্যা আরোপ করল সে যেন জাহান্নামে তার বসার স্থানটি খুজেঁ নেয়’।
মওদু বা জাল হাদীসের সূচনা হল যখন যেভাবেঃ-
* রাসূল (সঃ)- এর যুগের একটি
ঘটনাঃ-
মদীনার এক ব্যাক্তি কোন এক গোত্রের একটি কন্যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছিল কিন্তু কন্যা পক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করে দেয় । হিজরতের পর প্রথম দিকে ঐ ব্যাক্তি একটি জুব্বা পরে সেই গোত্রে গিয়ে পৌঁছে এবং কন্যা পক্ষের নিকট গিয়ে বলে রাসূল (সাঃ) নিজে আমাকে এই জুব্বা পরিয়েছেন এবং আমাকে এই গোত্রের প্রশাসক নিয়োগ করেছেন,গোত্রের লোকেরা রাসূল (সাঃ) কে ঘটনাটি অভহিত করে । মহানবী (সাঃ) এটা শুনে বলেছেন “মিথ্যা বলেছে আল্লাহর এই দুশমন,যাও তাকে যদি জীবন্ত পাও হত্যা কর আর যদি মৃত পাও তার লাশ আগুনে জ্বালিয়ে দাও” । রাসূলের (সাঃ)-এর পক্ষ থেকে একজন ব্যক্তি সেখানে গিয়ে দেখল সাপের কামড়ে লোকটি মারা গেছে অতএব নির্দেশ অনুযায়ী তার লাশ আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হল। এরপর মহানবী (সাঃ) সাধারণ্যে ঘোষণা দিলেন- “যে আমার নাম নিয়ে মিথ্যা কথা বলে সে যেন জাহান্নামে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়” । এই কঠোর সতর্কতামূলক কার্যক্রমের ফলে প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর মনগড়া হাদীস ছড়ানোর দ্বিতীয় কোন ঘটনা ঘটেনি ।
মদীনার এক ব্যাক্তি কোন এক গোত্রের একটি কন্যাকে বিয়ে করতে চাচ্ছিল কিন্তু কন্যা পক্ষ তা প্রত্যাখ্যান করে দেয় । হিজরতের পর প্রথম দিকে ঐ ব্যাক্তি একটি জুব্বা পরে সেই গোত্রে গিয়ে পৌঁছে এবং কন্যা পক্ষের নিকট গিয়ে বলে রাসূল (সাঃ) নিজে আমাকে এই জুব্বা পরিয়েছেন এবং আমাকে এই গোত্রের প্রশাসক নিয়োগ করেছেন,গোত্রের লোকেরা রাসূল (সাঃ) কে ঘটনাটি অভহিত করে । মহানবী (সাঃ) এটা শুনে বলেছেন “মিথ্যা বলেছে আল্লাহর এই দুশমন,যাও তাকে যদি জীবন্ত পাও হত্যা কর আর যদি মৃত পাও তার লাশ আগুনে জ্বালিয়ে দাও” । রাসূলের (সাঃ)-এর পক্ষ থেকে একজন ব্যক্তি সেখানে গিয়ে দেখল সাপের কামড়ে লোকটি মারা গেছে অতএব নির্দেশ অনুযায়ী তার লাশ আগুনে জ্বালিয়ে দেওয়া হল। এরপর মহানবী (সাঃ) সাধারণ্যে ঘোষণা দিলেন- “যে আমার নাম নিয়ে মিথ্যা কথা বলে সে যেন জাহান্নামে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়” । এই কঠোর সতর্কতামূলক কার্যক্রমের ফলে প্রায় ত্রিশ থেকে চল্লিশ বছর মনগড়া হাদীস ছড়ানোর দ্বিতীয় কোন ঘটনা ঘটেনি ।
* জাল হাদীসের সূত্রপাতঃ
হযরত আলী ও মুয়াবিয়া (রাঃ) এর মধ্যে সংঘটিত দুঃখ জনক ঘটনার ফলে উভয় পক্ষের অতি উৎসাহী ভক্ত ও অনুসারীদের পরস্পরের প্রতি বাড়াবাড়িমূলক কর্মকান্ডের ফলে জাল হাদীস বা মওদু হাদীসের উৎপত্তি হয়।
হযরত আলী ও মুয়াবিয়া (রাঃ) এর মধ্যে সংঘটিত দুঃখ জনক ঘটনার ফলে উভয় পক্ষের অতি উৎসাহী ভক্ত ও অনুসারীদের পরস্পরের প্রতি বাড়াবাড়িমূলক কর্মকান্ডের ফলে জাল হাদীস বা মওদু হাদীসের উৎপত্তি হয়।
* হাদীস জাল করার কারণ ও
উদ্দেশ্যঃ
১. জিন্দিকগণ পারসিক জিনদের ধর্মাবলম্বী একদল লোক বাহ্যত নিজেদেরকে মুসলমান বলে পরিচয় দিত, কিন্তু প্রচ্চন্ন ভাবে ইসলামের ক্ষতি সাধনের চেষ্টায় থাকত । এ সমস্ত লোকেরা ইসলামের মূলনীতি ও বিশ্বাসের প্রতি মানুষকে শ্রদ্ধাহীন করার জন্য রাসুলের (সাঃ) নামে অযৌক্তিক হাজার হাজার হাদীস প্রচলন করে । তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের অনিষ্ট সাধন ।
২. অতি পরহেজগারগণ নিজেদেরকে সূফি প্রমানের লক্ষে জাল হাদীস তৈরি করত ।
৩. সদুদ্দেশ্যে
৪. তর্কবিতর্কের ক্ষেত্রে রাসূল (সাঃ)- এর শ্রেষ্টত্ব প্রমানের জন্য মনগড়া হাদীস বর্ণনা করে ।
৫. যুদ্ধে উত্তেজিত করার জন্য ।
৬. মুকাল্লিদগণঃ ভিবিন্ন ইমামদের অনুসারীরা নিজেদের ইমামের শ্রেষ্টত্ব প্রমানের জন্য জাল হাদীস রচনা করে ।
৭. মুসাহেবগণঃ রাজা-বাদশা ও আমীর উমরাহদের মুসাহেবগণ নিজেদের প্রভুকে খুশি করার জন্য জাল হাদীস বর্ণনা করত ।
৮. বক্তাগণ ।
৯. অসতর্কতা ও অন্ধভক্তি ।
১০. সুফিগণ ।
১. জিন্দিকগণ পারসিক জিনদের ধর্মাবলম্বী একদল লোক বাহ্যত নিজেদেরকে মুসলমান বলে পরিচয় দিত, কিন্তু প্রচ্চন্ন ভাবে ইসলামের ক্ষতি সাধনের চেষ্টায় থাকত । এ সমস্ত লোকেরা ইসলামের মূলনীতি ও বিশ্বাসের প্রতি মানুষকে শ্রদ্ধাহীন করার জন্য রাসুলের (সাঃ) নামে অযৌক্তিক হাজার হাজার হাদীস প্রচলন করে । তাদের মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসলামের অনিষ্ট সাধন ।
২. অতি পরহেজগারগণ নিজেদেরকে সূফি প্রমানের লক্ষে জাল হাদীস তৈরি করত ।
৩. সদুদ্দেশ্যে
৪. তর্কবিতর্কের ক্ষেত্রে রাসূল (সাঃ)- এর শ্রেষ্টত্ব প্রমানের জন্য মনগড়া হাদীস বর্ণনা করে ।
৫. যুদ্ধে উত্তেজিত করার জন্য ।
৬. মুকাল্লিদগণঃ ভিবিন্ন ইমামদের অনুসারীরা নিজেদের ইমামের শ্রেষ্টত্ব প্রমানের জন্য জাল হাদীস রচনা করে ।
৭. মুসাহেবগণঃ রাজা-বাদশা ও আমীর উমরাহদের মুসাহেবগণ নিজেদের প্রভুকে খুশি করার জন্য জাল হাদীস বর্ণনা করত ।
৮. বক্তাগণ ।
৯. অসতর্কতা ও অন্ধভক্তি ।
১০. সুফিগণ ।
* কয়েকটি মাওযু হাদীসঃ
১. আমার উম্মতের আলিমগণ বনি ইসরাইলের নবীগনের সমতুল্য,
১. আমার উম্মতের আলিমগণ বনি ইসরাইলের নবীগনের সমতুল্য,
২. আলিমগনের/জ্ঞানীর কলমের
কালি শহীদের রক্তের চেয়েও উত্তম,
৩. স্বদেশপ্রেম ঈমানের
অঙ্গ,
৪. কলব (অন্তর) হচ্ছে রবের
ঘর,
৫. সুদূর চীন দেশে গিয়ে
হলেও জ্ঞান অর্জন কর,
৬. পাগড়ী পড়া ১ রাকাত
নামাজে ২৫ রাকাতের সওয়াব - ইত্যাদি ।
* জাল হাদীসের লক্ষণঃ
১. স্বীকারোক্তি
২. যে সকল হাদীসের প্রত্যক্ষ শর্তের বিপরীত কোন কিছু বর্ণিত হয় তা জাল হাদীস । যেমন - বেগুন সকল রোগের ঔষধ ।
৩. জীবনে একবারও হাদীস জাল করেছে বা জেনে শুনে জাল হাদীস প্রচার করেছে এমন ব্যাক্তির বর্ণিত হাদীস ।
৪. যে হাদীসের বর্ণনা মূলের বিপরীত ।
১. স্বীকারোক্তি
২. যে সকল হাদীসের প্রত্যক্ষ শর্তের বিপরীত কোন কিছু বর্ণিত হয় তা জাল হাদীস । যেমন - বেগুন সকল রোগের ঔষধ ।
৩. জীবনে একবারও হাদীস জাল করেছে বা জেনে শুনে জাল হাদীস প্রচার করেছে এমন ব্যাক্তির বর্ণিত হাদীস ।
৪. যে হাদীসের বর্ণনা মূলের বিপরীত ।
যেমন- সূর্য তাপে তক্ত জ্বলে,স্নান
করলে কুষ্ঠ রোগ হয় ।
৫. খাজা-খিজির সম্মন্ধে বর্ণিত সকল হাদীস ।
৬. যে হাদীসে কোন জঘন্য ভাবের সমাবেশ আছে ।
৭. যে হাদীসের ভাষা অশোভনীয় ।
৮. যে হাদীসে এমন ঘটনা উল্লেখ আছে যে,তা ঘটে থাকলে বহুলোক জানার কথা ছিল,অথচ মাত্র একজন রাবী তা বর্ণনা করেছে ।
৯. যে হাদীসে অনর্থক মুল্যহীন কথা আছে ।
১০. যা কুরআন,সহীহ হাদীস ও কাতয়ী ইজমার বিপরীত ।
১১. যে সকল হাদীসে সামান্য কাজের জন্য বড় বড় সওয়াব এবং সামান্য অপরাধের জন্য কঠোর দন্ডের ওয়াদা করা হয়েছে ।
৫. খাজা-খিজির সম্মন্ধে বর্ণিত সকল হাদীস ।
৬. যে হাদীসে কোন জঘন্য ভাবের সমাবেশ আছে ।
৭. যে হাদীসের ভাষা অশোভনীয় ।
৮. যে হাদীসে এমন ঘটনা উল্লেখ আছে যে,তা ঘটে থাকলে বহুলোক জানার কথা ছিল,অথচ মাত্র একজন রাবী তা বর্ণনা করেছে ।
৯. যে হাদীসে অনর্থক মুল্যহীন কথা আছে ।
১০. যা কুরআন,সহীহ হাদীস ও কাতয়ী ইজমার বিপরীত ।
১১. যে সকল হাদীসে সামান্য কাজের জন্য বড় বড় সওয়াব এবং সামান্য অপরাধের জন্য কঠোর দন্ডের ওয়াদা করা হয়েছে ।
* যাদের
হাদীস গ্রহণ করা যাবেনাঃ-
১. রাসূল (সাঃ)-এর প্রতি মিথ্যা আরোপকারী ।
২. সাধারণ কথা বার্তায় যারা মিথ্যা কথা বলে ।
৩. বিদয়াতী প্রবৃত্তির অনুসারী ।
৪. জিন্দিক,পারসিক,অমনোযোগী ও অসতর্ক ব্যাক্তিবর্গ এবং যাদের মধ্যে আদালত,যাত ও ফাহাম (ন্যায় পরায়ণতা, বুদ্ধিমত্তা) ইত্যাদি গুণাবলীর অনুপস্থিতি থাকবে ।
১. রাসূল (সাঃ)-এর প্রতি মিথ্যা আরোপকারী ।
২. সাধারণ কথা বার্তায় যারা মিথ্যা কথা বলে ।
৩. বিদয়াতী প্রবৃত্তির অনুসারী ।
৪. জিন্দিক,পারসিক,অমনোযোগী ও অসতর্ক ব্যাক্তিবর্গ এবং যাদের মধ্যে আদালত,যাত ও ফাহাম (ন্যায় পরায়ণতা, বুদ্ধিমত্তা) ইত্যাদি গুণাবলীর অনুপস্থিতি থাকবে ।
* হাদীস জালকারীদের
কয়েকজন/মুহাদ্দিসগনের নিকট মিথ্যাবাদি হিসেবে আধিক পরিচিত যারাঃ
১. আবান্ যাফার আন-নুমাইরীঃ এই ব্যক্তি ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)-এর নামে তিন শতাধিক হাদীস ছড়িয়েছেন ।
২. ইবরাহীম ইবনে যায়িদ আল-আসলামীঃ এ ব্যক্তি ইমাম মালিক (রহঃ)-এর নামে বহু হাদীস ছড়িয়েছেন ।
৩. আহমদ ইবনে আবদিল্লাহ আ-জুওয়ায়বারীঃ সে সিয়াদের কাররামিয়া সম্প্রদায়ের নামে হজার হাজার হাদীস বর্ণনা করে ।
৪. জাবির ইবনে ইয়াজিদ আল-যুফিঃ তার সম্পর্কে সুফিয়ান বলেন,আমি জাবিরকে বলতে শুনেছি সে প্রায় ত্রিশ হাজার জাল হাদীস বর্ণনা করেছে ।
৫. মহাম্মদ ইবনে সুজা আছ-ছালজীঃ সে সৃষ্ট বস্তুর সাথে আল্লাহর সম্পর্ক সাদৃশ্যমূলক বিষয়ে বহু হাদীস তৈরী করে মহাদ্দীসদের নামে ছড়িয়েছে ।
৬. নুহ ইবনে আবি মারিয়ামঃ সে কুরআনের নানাবিধ ফজীলত ও বিভিন্ন সূরার সাহাত্ম্য ও মর্যাদা বিষয়ক বহু হাদীস তৈরী করে ছড়িয়েছে ।
১. আবান্ যাফার আন-নুমাইরীঃ এই ব্যক্তি ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)-এর নামে তিন শতাধিক হাদীস ছড়িয়েছেন ।
২. ইবরাহীম ইবনে যায়িদ আল-আসলামীঃ এ ব্যক্তি ইমাম মালিক (রহঃ)-এর নামে বহু হাদীস ছড়িয়েছেন ।
৩. আহমদ ইবনে আবদিল্লাহ আ-জুওয়ায়বারীঃ সে সিয়াদের কাররামিয়া সম্প্রদায়ের নামে হজার হাজার হাদীস বর্ণনা করে ।
৪. জাবির ইবনে ইয়াজিদ আল-যুফিঃ তার সম্পর্কে সুফিয়ান বলেন,আমি জাবিরকে বলতে শুনেছি সে প্রায় ত্রিশ হাজার জাল হাদীস বর্ণনা করেছে ।
৫. মহাম্মদ ইবনে সুজা আছ-ছালজীঃ সে সৃষ্ট বস্তুর সাথে আল্লাহর সম্পর্ক সাদৃশ্যমূলক বিষয়ে বহু হাদীস তৈরী করে মহাদ্দীসদের নামে ছড়িয়েছে ।
৬. নুহ ইবনে আবি মারিয়ামঃ সে কুরআনের নানাবিধ ফজীলত ও বিভিন্ন সূরার সাহাত্ম্য ও মর্যাদা বিষয়ক বহু হাদীস তৈরী করে ছড়িয়েছে ।
* ইমাম আন-নাসাই (রহঃ) বলেন- জাল হাদীস রচনার সাথে জড়িত মিথ্যাবাদী হিসেবে প্রসিদ্ধি লাভকারী ব্যক্তি
চারজনঃ
১. মদীনায় ইবনে আবি
ইয়াহইয়া
২. বাগদাদে আল-ওয়াকিদী
৩. খুরাসানে মুকাতিল
৪. শামে মুহাম্মদ
ইবনে সাইদ আল-মাসলুব ।
হাদীসের মৌলিক জ্ঞান-২
হাদীস সংকলনঃ-
* রাসূল (সাঃ)-এর জীবদ্দশায়ঃ
ঐতিহাসিক বালাযুরির মতে রাসূল (সাঃ)-এর নবূয়াতি জীবনে তখন মক্কায় শিক্ষিত লোকের সংখ্যা ছিল মাত্র ১১ জন। এমতাবস্থায় রাসূল (সাঃ) যখন প্রেরীত হন তখন তাঁর সামনে সর্বপ্রথম গুরুত্বপূর্ন কাজ ছিল,ক্রমাগতভাবে নাজিল হওয়া কুরআন এমনভাবে সংরক্ষণ করা যাতে এর মধ্যে কোন জিনিসের সংমিশ্রণ না ঘটে । এজন্য তিনি এই মর্মে নির্দেশ দেন-
হযরত আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন-“তোমরা আমার কোন কথা লিখনা । কেউ যদি কুরআন ছাড়া আমার কথা লিখে থাকে সে যেন তা মুছে ফেলে” ।
* রাসূল (সাঃ)-এর জীবদ্দশায়ঃ
ঐতিহাসিক বালাযুরির মতে রাসূল (সাঃ)-এর নবূয়াতি জীবনে তখন মক্কায় শিক্ষিত লোকের সংখ্যা ছিল মাত্র ১১ জন। এমতাবস্থায় রাসূল (সাঃ) যখন প্রেরীত হন তখন তাঁর সামনে সর্বপ্রথম গুরুত্বপূর্ন কাজ ছিল,ক্রমাগতভাবে নাজিল হওয়া কুরআন এমনভাবে সংরক্ষণ করা যাতে এর মধ্যে কোন জিনিসের সংমিশ্রণ না ঘটে । এজন্য তিনি এই মর্মে নির্দেশ দেন-
হযরত আবু সাইদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূল (সাঃ) বলেছেন-“তোমরা আমার কোন কথা লিখনা । কেউ যদি কুরআন ছাড়া আমার কথা লিখে থাকে সে যেন তা মুছে ফেলে” ।
* হাদীস লেখার সাধারণ অনুমতিঃ
রাসূল (সাঃ) মদীনায় পৌঁছার অল্পকিছুদিনের মধ্যেই সাহাবী এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়া শেখার ব্যবস্থার ফলে রাসূল (সাঃ) সুন্নাহ শেখার অনুমতি দেন।
রাসূল (সাঃ) মদীনায় পৌঁছার অল্পকিছুদিনের মধ্যেই সাহাবী এবং তাদের সন্তানদের লেখাপড়া শেখার ব্যবস্থার ফলে রাসূল (সাঃ) সুন্নাহ শেখার অনুমতি দেন।
* এ ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন
করেন-
১. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর আল-আস (রাঃ) (লিখনির মাধ্যমে)
২. হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) (মুখস্ত করার মাধ্যমে) (৫৩৭৪ টি হাদীস )
৩. আব্দুল্লাহ ইবনুল আব্বাস (রাঃ)
৪. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ)
৫. যাবির ইবনে আব্দিল্লাহ (রাঃ)
৬. উম্মুল মুমিনীন আয়শা (রাঃ) (২২০০ টি হাদীস )
রাসূল (সাঃ) এর ওফাতের পরঃ খোলাফায়ে রাশেদিনের আমলঃ
* প্রথম খলিফা হযরত আবুবকর (রাঃ) এর আমলে সুন্নাহ সংগ্রহ ও সংকলনের সরকারী কোন উদ্যোগ নেয়া হয় নাই। এই সময় অপরাপর সকল সাহাবী (রাঃ) জীবিত থাকা,খিলাফতের ব্যস্ততম অবস্থা তথা খলিফা মাত্র দুই বছর ছয়মাস সময় পেয়েছিলেন । হযরত আবুবকর (রাঃ) ১৪২ খানা হাদীছ বর্ণনার কথা ইমাম সুয়ুতী মারফত জানা যায়।
* দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) এর আমলে তিনি হাদীস সংকলনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন কিন্তু তিনি দীর্ঘ একমাস ইস্তেখারা করার পর এই সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
* তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান (রাঃ)ও রাসূল (সঃ)-এর সতর্কতার প্রতি অতীব সাবধানতার কারনে হাদীস সংকলনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।
* চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রাঃ), যে কজন সাহাবী নিজেদের হাতে রাসূল (সঃ)-এর নিকট শ্রুত হাদীস লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন তাদের মধ্যে হযরত আলী (রাঃ) অন্যতম। হযরত আলী (রাঃ)-এর নিকট সাদকা, যাকাত এবং ব্যাবহারিক কাজকর্ম সম্পর্কিত হুকুম আহকামের কয়েকটি হাদীস লিখিত ছিল । এই হাদীস সমষ্টির তিনি নাম দিয়েছিলেন ‘সহীফা’। পরবর্তীতে তিনি এই সহীফাখানাকে হাদীসের একখানি দস্তবেজ হিসেবে হযরত উসমান (রাঃ)-এর নিকট পাঠিয়ে দেন।
* তবে এই সময়ে সরকারী উদ্যোগে হাদীস সংকলন না হলেও মহান সাহাবী এবং তাবেঈদের একটি বিশাল অংশ ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে হাদীস সংগ্রহের কাজে লিপ্ত ছিলেন। বয়োজ্যেষ্ঠ তাবেঈগনের মধ্যে ৯৯ জনের নাম ইতিহাসে পাওয়া যায়। হিজরী ১ম শতকের শেষে এবং দ্বিতীয় শতকের শুরুতে বয়োকনিষ্ঠ তাবেঈ ও তাবেতাবেঈগনের ২৫২ জনের নাম পাওয়া যায়। যাদের নিকট হাদীসের লিখিত পান্ডুলিপি বিদ্যমান ছিল। এইভাবে সাহাবী তাবেঈ এবং তাবেতাবেঈ মিলে ৪০৩ জন রাবীর নাম পাওয়া যায়।
*হাদীস সংকলনের সরকারী উদ্যোগঃ
১. হাদীস সংকলনের সরকারী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় হিজরী ৭৫ সন বা তার কাছাকাছি সময়ে। ঐতিহাসিক সুত্রে জানা যায় দ্বিতীয় ওমরের পিতা- আব্দুল আযীয ইবনে মারওয়ান মিসরের ওয়ালী থাকাকালে হাদীস লিপিবদ্ধ করনের প্রয়োজন উপলব্ধি করেন। অতঃপর তিনি সমকালীন হাদীস বিশারদ হজরত কুছায়্যির ইবনে মুররাকে (যিনি হিমসে রাসূল (সাঃ) এর সত্তরজন বদরী সাহাবীর সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন) সাহাবীদের কাছথেকে প্রাপ্ত সকল হাদীস খলিফার দরবারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
১. হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে উমর আল-আস (রাঃ) (লিখনির মাধ্যমে)
২. হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) (মুখস্ত করার মাধ্যমে) (৫৩৭৪ টি হাদীস )
৩. আব্দুল্লাহ ইবনুল আব্বাস (রাঃ)
৪. আনাস ইবনে মালিক (রাঃ)
৫. যাবির ইবনে আব্দিল্লাহ (রাঃ)
৬. উম্মুল মুমিনীন আয়শা (রাঃ) (২২০০ টি হাদীস )
রাসূল (সাঃ) এর ওফাতের পরঃ খোলাফায়ে রাশেদিনের আমলঃ
* প্রথম খলিফা হযরত আবুবকর (রাঃ) এর আমলে সুন্নাহ সংগ্রহ ও সংকলনের সরকারী কোন উদ্যোগ নেয়া হয় নাই। এই সময় অপরাপর সকল সাহাবী (রাঃ) জীবিত থাকা,খিলাফতের ব্যস্ততম অবস্থা তথা খলিফা মাত্র দুই বছর ছয়মাস সময় পেয়েছিলেন । হযরত আবুবকর (রাঃ) ১৪২ খানা হাদীছ বর্ণনার কথা ইমাম সুয়ুতী মারফত জানা যায়।
* দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর ফারুক (রাঃ) এর আমলে তিনি হাদীস সংকলনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন কিন্তু তিনি দীর্ঘ একমাস ইস্তেখারা করার পর এই সিদ্ধান্ত বাতিল করেন।
* তৃতীয় খলিফা হযরত ওসমান (রাঃ)ও রাসূল (সঃ)-এর সতর্কতার প্রতি অতীব সাবধানতার কারনে হাদীস সংকলনের কোন উদ্যোগ গ্রহণ করেননি।
* চতুর্থ খলিফা হযরত আলী (রাঃ), যে কজন সাহাবী নিজেদের হাতে রাসূল (সঃ)-এর নিকট শ্রুত হাদীস লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন তাদের মধ্যে হযরত আলী (রাঃ) অন্যতম। হযরত আলী (রাঃ)-এর নিকট সাদকা, যাকাত এবং ব্যাবহারিক কাজকর্ম সম্পর্কিত হুকুম আহকামের কয়েকটি হাদীস লিখিত ছিল । এই হাদীস সমষ্টির তিনি নাম দিয়েছিলেন ‘সহীফা’। পরবর্তীতে তিনি এই সহীফাখানাকে হাদীসের একখানি দস্তবেজ হিসেবে হযরত উসমান (রাঃ)-এর নিকট পাঠিয়ে দেন।
* তবে এই সময়ে সরকারী উদ্যোগে হাদীস সংকলন না হলেও মহান সাহাবী এবং তাবেঈদের একটি বিশাল অংশ ভিন্ন ভিন্ন বিষয়ে হাদীস সংগ্রহের কাজে লিপ্ত ছিলেন। বয়োজ্যেষ্ঠ তাবেঈগনের মধ্যে ৯৯ জনের নাম ইতিহাসে পাওয়া যায়। হিজরী ১ম শতকের শেষে এবং দ্বিতীয় শতকের শুরুতে বয়োকনিষ্ঠ তাবেঈ ও তাবেতাবেঈগনের ২৫২ জনের নাম পাওয়া যায়। যাদের নিকট হাদীসের লিখিত পান্ডুলিপি বিদ্যমান ছিল। এইভাবে সাহাবী তাবেঈ এবং তাবেতাবেঈ মিলে ৪০৩ জন রাবীর নাম পাওয়া যায়।
*হাদীস সংকলনের সরকারী উদ্যোগঃ
১. হাদীস সংকলনের সরকারী উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় হিজরী ৭৫ সন বা তার কাছাকাছি সময়ে। ঐতিহাসিক সুত্রে জানা যায় দ্বিতীয় ওমরের পিতা- আব্দুল আযীয ইবনে মারওয়ান মিসরের ওয়ালী থাকাকালে হাদীস লিপিবদ্ধ করনের প্রয়োজন উপলব্ধি করেন। অতঃপর তিনি সমকালীন হাদীস বিশারদ হজরত কুছায়্যির ইবনে মুররাকে (যিনি হিমসে রাসূল (সাঃ) এর সত্তরজন বদরী সাহাবীর সাক্ষাৎ পেয়েছিলেন) সাহাবীদের কাছথেকে প্রাপ্ত সকল হাদীস খলিফার দরবারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
২.পরবর্তীতে খলিফা ওমর
ইবনে আব্দুল আযীয এ উদ্যোগকে আরো অগ্রসর করেন। তিনি সর্বত্র ও
সর্বদা এ কথাটি উচ্চারণ করতেন-“ওহে জনগণ !
দান অনুগ্রহকে কৃতজ্ঞতা দ্বারা এবং জ্ঞানকে গ্রন্থের দ্বারা
বন্দী কর”। তিনি
নিন্মোক্ত উদ্যোগ গ্রহণ করেনঃ
ক) মদীনার তৎকালীন আমীর, বিখ্যাত ইমাম ও সমকালীনদের মধ্যে বিচার কাজে সর্বাধিক দক্ষ ও বিচক্ষণ ব্যক্তি হযরত আবু বকর ইবনে হাজমকে (তৎকালীন মদীনার শাসক, বিচারক ও হজ্জ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োযিত, উম্মুল মোমিনীন আয়শা (রাঃ) এর তত্বাবধানে লালিত পালিত,হযরত আয়শা (রাঃ) এর বর্ণিত হাদীস বিষয়ে বিশেষ পারদর্শী,(ইন্তিকাল হিজরী ৯৮ মতান্তরে ১০৬ সন) স্বীয় চিন্তার ও শঙ্কার কথা উল্লেখ করে হাদীস লেখার নির্দেশ দেন।
খ) সে যুগের শ্রেষ্ঠ হাদীস বিশারদ হযরত ইবনে শিহাব আয-যুহরীকেও (হাফেজে হাদীস,আরবের বংশবিদ্যায় পারদর্শী,মাত্র ৮০ রাতে কুরআন মুখাস্তকারী,৯০ টি হাদীসের ধারক যা তিনি ছাড়া অন্য কেউ জানতেন না,সর্ব প্রথম হাদীস সংকলনকারী) এ ব্যাপারে পত্র লেখেন।
গ) এছাড়াও ওমর ইবনে আব্দুল আযীয (রহঃ) ইসলামী খিলাফতের সকল শহর ও জনপদে রাসূলের (সাঃ) হাদীস সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধকরনের নির্দেশ সম্বলিত ফরমান পাঠান।
অতঃপর খলিফা সংগৃহীত হাদীসের পান্ডুলিপি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করেন এবং সর্বস্থানে ও সর্বজনে হাদীসের ব্যাপক চর্চার নির্দেশ দেন।
ক) মদীনার তৎকালীন আমীর, বিখ্যাত ইমাম ও সমকালীনদের মধ্যে বিচার কাজে সর্বাধিক দক্ষ ও বিচক্ষণ ব্যক্তি হযরত আবু বকর ইবনে হাজমকে (তৎকালীন মদীনার শাসক, বিচারক ও হজ্জ ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে নিয়োযিত, উম্মুল মোমিনীন আয়শা (রাঃ) এর তত্বাবধানে লালিত পালিত,হযরত আয়শা (রাঃ) এর বর্ণিত হাদীস বিষয়ে বিশেষ পারদর্শী,(ইন্তিকাল হিজরী ৯৮ মতান্তরে ১০৬ সন) স্বীয় চিন্তার ও শঙ্কার কথা উল্লেখ করে হাদীস লেখার নির্দেশ দেন।
খ) সে যুগের শ্রেষ্ঠ হাদীস বিশারদ হযরত ইবনে শিহাব আয-যুহরীকেও (হাফেজে হাদীস,আরবের বংশবিদ্যায় পারদর্শী,মাত্র ৮০ রাতে কুরআন মুখাস্তকারী,৯০ টি হাদীসের ধারক যা তিনি ছাড়া অন্য কেউ জানতেন না,সর্ব প্রথম হাদীস সংকলনকারী) এ ব্যাপারে পত্র লেখেন।
গ) এছাড়াও ওমর ইবনে আব্দুল আযীয (রহঃ) ইসলামী খিলাফতের সকল শহর ও জনপদে রাসূলের (সাঃ) হাদীস সংগ্রহ ও লিপিবদ্ধকরনের নির্দেশ সম্বলিত ফরমান পাঠান।
অতঃপর খলিফা সংগৃহীত হাদীসের পান্ডুলিপি সাম্রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করেন এবং সর্বস্থানে ও সর্বজনে হাদীসের ব্যাপক চর্চার নির্দেশ দেন।
* সর্বপ্রথম হাদীস সংকলনঃ
ইবনে হাজারের মতে - হাদীস সমূহ বিষয় ভিত্তিক বিভিন্ন অধ্যায়ে সর্বপ্রথম সংকলন করেন - হযরত ইমাম আশ-শাবী (রহঃ)।
ইবনে হাজারের মতে - হাদীস সমূহ বিষয় ভিত্তিক বিভিন্ন অধ্যায়ে সর্বপ্রথম সংকলন করেন - হযরত ইমাম আশ-শাবী (রহঃ)।
এ যুগে আরো যারা অবদান রাখেন তারা হলেনঃ
ইমাম আবু ইউসুফ (হি ১১৩-১৮২), ইমাম মুহাম্মদ
(হি-১৩১-১৮৯), ইমাম মালিক (রহঃ),
মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক (মৃ-১৮১হি)
* হিজরী দ্বিতীয় শতকের
হাদীসের বিখ্যাত সংকলন সমূহঃ
১) ইমাম মালিক ইবনে আনাছ (রহঃ) (মৃ-১৭৯ হি) এর আল-মুয়াত্ত্বা, ২) ইমাম আশ-শাফেয়ী (মৃ ২০৪ হি) এর আল-মুসনাদ ও মুখতালাফুল হাদীস,
১) ইমাম মালিক ইবনে আনাছ (রহঃ) (মৃ-১৭৯ হি) এর আল-মুয়াত্ত্বা, ২) ইমাম আশ-শাফেয়ী (মৃ ২০৪ হি) এর আল-মুসনাদ ও মুখতালাফুল হাদীস,
৩) ইমাম আব্দুর রাজ্জাক (মৃ ২১১হি) এর আল-জামি,
৪) শুবা ইবনে আল-হাজ্জাজ
(মৃ ১৬০ হি) এর
মুসান্নাফ ।
এছাড়াও ইমাম মালিক,ইমাম আবু ইউসুফ,ইমাম মুহাম্মদ,মহাম্মদ ইবনে ইসহাক,ইবনে সাদ,ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল এবং আবু বাকার ইবনে আবী শাইবার সংকলনগুলো বর্তমানকাল পর্যন্ত বিদ্যমান আছে।
এছাড়াও ইমাম মালিক,ইমাম আবু ইউসুফ,ইমাম মুহাম্মদ,মহাম্মদ ইবনে ইসহাক,ইবনে সাদ,ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল এবং আবু বাকার ইবনে আবী শাইবার সংকলনগুলো বর্তমানকাল পর্যন্ত বিদ্যমান আছে।
* হিজরী
তৃতীয় শতকে হাদীস সংকলনঃ
১) এই সময়টি ছিল ইলমে হাদীস চর্চা,লিখন ও পঠন-পাঠনের স্বর্ণযুগ। এ সময়ে ইলমে হাদীসের এক-একটি বিভাগ সম্পূর্ণ ও স্বতন্ত্রভাবে গঠিত হয়। এ শতকের মুহাদ্দীসগণ রাবী ও হাদীসের সন্ধানে জলে-স্থলে,গ্রাম-গন্জে,শহরে-নগরে এবং দেশ থেকে দেশান্তরে তন্ন তন্ন করে খুজে বিক্ষিপ্ত হাদীস সমূহ পূর্ণ সনদসহ সজ্জিত ও সুবিন্যস্ত করেন। এ যুগে ইলমে হাদীস সংকলন সূচনা করা হয় মুসনাদ (রাবী ভিত্তিক) পদ্ধতিতে । এরই ধারাবাহিকতায় ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) (মৃ-২৪১ হি.) এর হাত দিয়ে বেরিয়ে আসে হাদীসের বিখ্যাত ‘মুনাদ’ গ্রন্থটি । তার সারা জীবনের সংগৃহীত সাত লক্ষ হাদীস থেকে মাত্র ত্রিশ হাজার হাদীস মুসনাদে সংকলিত করেন।
২) এর পর আবির্ভাব ঘটে হাদীস যাচাই-বাচাই, সংগ্রহ-সংকলন জগতের দুই উজ্জল নক্ষত্রের,তারা হলেনঃ ১. মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল আল-বুখারী (হি ১৯৪-২৫৬)
২. মুসলিম ইবনে আল-হাজ্জাজ আল-কুশায়রী আন-নিসাপুরি (হি ২০৪-২৬১)
এরপর তাদের দুজনের পদাঙ্ক আনুসরন করে আরো আনেকে হাদীস সংকলনে আত্মনিয়োগ করেন। তার মধ্যে চারখানা সুনান গ্রন্থ সর্বাধিক প্রসিদ্ধঃ
১) এই সময়টি ছিল ইলমে হাদীস চর্চা,লিখন ও পঠন-পাঠনের স্বর্ণযুগ। এ সময়ে ইলমে হাদীসের এক-একটি বিভাগ সম্পূর্ণ ও স্বতন্ত্রভাবে গঠিত হয়। এ শতকের মুহাদ্দীসগণ রাবী ও হাদীসের সন্ধানে জলে-স্থলে,গ্রাম-গন্জে,শহরে-নগরে এবং দেশ থেকে দেশান্তরে তন্ন তন্ন করে খুজে বিক্ষিপ্ত হাদীস সমূহ পূর্ণ সনদসহ সজ্জিত ও সুবিন্যস্ত করেন। এ যুগে ইলমে হাদীস সংকলন সূচনা করা হয় মুসনাদ (রাবী ভিত্তিক) পদ্ধতিতে । এরই ধারাবাহিকতায় ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ) (মৃ-২৪১ হি.) এর হাত দিয়ে বেরিয়ে আসে হাদীসের বিখ্যাত ‘মুনাদ’ গ্রন্থটি । তার সারা জীবনের সংগৃহীত সাত লক্ষ হাদীস থেকে মাত্র ত্রিশ হাজার হাদীস মুসনাদে সংকলিত করেন।
২) এর পর আবির্ভাব ঘটে হাদীস যাচাই-বাচাই, সংগ্রহ-সংকলন জগতের দুই উজ্জল নক্ষত্রের,তারা হলেনঃ ১. মুহাম্মদ ইবনে ইসমাইল আল-বুখারী (হি ১৯৪-২৫৬)
২. মুসলিম ইবনে আল-হাজ্জাজ আল-কুশায়রী আন-নিসাপুরি (হি ২০৪-২৬১)
এরপর তাদের দুজনের পদাঙ্ক আনুসরন করে আরো আনেকে হাদীস সংকলনে আত্মনিয়োগ করেন। তার মধ্যে চারখানা সুনান গ্রন্থ সর্বাধিক প্রসিদ্ধঃ
৩/১. সুনানু মুহাম্মদ ইবনে
ইয়াজিদ ইবনে মাজাহ্ (মৃ.২৭৩ হি)
৪/২. সুনানু আবী দাউদ আস-সিজিস্থানী (মৃ ২৭৫ হি)
৪/২. সুনানু আবী দাউদ আস-সিজিস্থানী (মৃ ২৭৫ হি)
৫/৩. সুনানু আবী ইসা
আত-তিরমিজি (মৃ২৮৭ হি)
৬/৪. সুনানু আহমাদ ইবনে আলী আন-নাসাঈ (মৃ ৩০৩ হি)
*হিজরী চতুর্থ শতকে হাদীস সংকলনঃ
এ সময়ে হাদীস সংগ্রহ,সংকলন,যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা -নিরীক্ষার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়। পূর্ববর্তীদের পরীক্ষা –নিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে একটি হাদীসকে একাধিক সনদসুত্রে বর্ণনা করেছেন এ সময়ের আলেমগণ ।
তাদের মধ্যে সর্বাধিক খ্যাতিমান কয়েকজন ইমাম হলেন-
১. সুলাইমান ইবনে আহমাদ আত-তাবারানি (মৃ ৩৬০ হি), গ্রন্থ- আল-মুজাম
২. আদ-দারাকুতনি (মৃ ৩৮৫ হি)
৩. ইবনে খুযাইমা (মৃ ৩১১হি)
৪. আত-তাহাবী (মৃ ৩২১ হি)
৬/৪. সুনানু আহমাদ ইবনে আলী আন-নাসাঈ (মৃ ৩০৩ হি)
*হিজরী চতুর্থ শতকে হাদীস সংকলনঃ
এ সময়ে হাদীস সংগ্রহ,সংকলন,যাচাই-বাছাই ও পরীক্ষা -নিরীক্ষার যাবতীয় কাজ সম্পন্ন হয়। পূর্ববর্তীদের পরীক্ষা –নিরীক্ষার উপর ভিত্তি করে একটি হাদীসকে একাধিক সনদসুত্রে বর্ণনা করেছেন এ সময়ের আলেমগণ ।
তাদের মধ্যে সর্বাধিক খ্যাতিমান কয়েকজন ইমাম হলেন-
১. সুলাইমান ইবনে আহমাদ আত-তাবারানি (মৃ ৩৬০ হি), গ্রন্থ- আল-মুজাম
২. আদ-দারাকুতনি (মৃ ৩৮৫ হি)
৩. ইবনে খুযাইমা (মৃ ৩১১হি)
৪. আত-তাহাবী (মৃ ৩২১ হি)
ইসলামের ইতিহাসে বিভিন্ন যুদ্ধের সময় মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর যে কয়জন পাহারাদার ছিলেন যারা...........। |
||||
ইসলামের ইতিহাসে বিভিন্ন যুদ্ধের সময়
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (স.) এর যে কয়জন পাহারাদার ছিলেন
১. বদরের যুদ্ধে : হযরত সা'দ ইবনে মোয়ায (র.) ২. ওহুদের যুদ্ধে : হযরত যাকওয়ান ইবনে আবদে কায়েস (র.) ও হযরত মুহাম্মদ ইবনে সালামা আনসারী (র.) ৩. খন্দকের যুদ্ধে : হযরত যুবায়ের (র.) ৪. কুরার যুদ্ধে : হযরত আবু ইউয়ুব (র.) ও হযরত বিলাল (র.) |
||||
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন