ছাত্রশিবির
ঘোষিত বিভিন্ন দিবস সমূহ
*প্রতিষ্ঠা
বার্ষিকী : ৬ই ফেব্রুয়ারী
*শাহাদাত দিবস :
১১ই মার্চ
*কোরআন দিবস :
১১ই মে
*ইসলামী শিক্ষা
দিবস : ১৫ই আগস্ট
*বদর দিবস :
১৭ই রমযান
*বালাকোট দিবস :
৬ই মে
*আশুরা দিবস :
১০ই মহর্রম
*পলাশী দিবস :
২৩ই জুন
*বাবরী মসজিদ দিবস
: ৬ই ডিসেম্বর
কোরআন দিবসঃ
কলিকাতার হাইকোর্টে দায়েরকৃত কোরআন বাজেয়াপ্ত মামলার
প্রতিবাদে ১৯৮৫ সালের ১১ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আয়োজিত মিছিলে কুখ্যাত ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান
মোল্লার নির্দেশে নির্বিচার গুলিতে শাহাদাত বরণ করেন শহীদ আব্দুল মতিন,শহীদ
রাশিদুল হক, শহীদ শীষ মোহাম্মদ, শহীদ মুহাম্মদ সেলিম, শহীদ শাহাবুদ্দীন সহ আট জন।
কোরআনের মর্যাদা রক্ষায় প্রাণ দিয়ে বিরল নজির স্থাপন
করায় এই দিনটিকে কোরআন দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
ইসলামী শিক্ষা দিবসঃ
১৯৫৯ সালের ২ আগস্ট,পাকিস্তানের শিক্ষা
ব্যবস্থা কি হবে?
এই বিষয়ের উপর NIPA (National Institute of Public Adminstration) কর্তৃক
আয়োজিত এক সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র আব্দুল মালেক ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার উপর যুক্তিনির্ভর ও প্রশংসনীয় এক বক্তৃতা উপস্থাপন করেন। যার ফলে ধর্মনিরপেক্ষতা ও প্রগতিবাদের ফাঁকা বুলি নিয়ে যারা সবসময় ব্যস্ত থাকে তাদের যুক্তির অসারতা প্রমাণিত হয়ে গেল। এরপর ১২ আগস্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টি এস সি কর্তৃক আয়োজিত আরেকটি
সেমিনারে বক্তব্য
দেয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়। যুক্তি দিয়ে মোকাবেলা
করতে না পেরে
ধর্মনিরপেক্ষতার ঝাণ্ডাধারীরা আব্দুল মালেক ভাইয়ের উপর
সোহরাওয়ার্দী
উদ্যানে ইট, রড ও লাঠি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে।
সংজ্ঞাহীন আব্দুল মালেক ভাইকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তিনি
১৫ আগস্ট শাহাদাত বরণ করেন। ইসলামী শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য তার
দ্বিধাহীন ত্যাগের মহিমাকে সামনে রেখে তার স্বপ্নকে বাস্তবে রুপদান করার
নিয়মতান্ত্রিক দাবি হিসেবে এই দিনটিকে ইসলামী শিক্ষা
দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বালাকোট দিবসঃ
হাজার বছরের মুসলিম শাসনের পর এক প্রকার দুঃস্বপ্নের মত উপমহাদেশে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার কারণে মূলত মুসলমানরাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই আলেম সমাজ ইংরেজ শাসনকে কখনই মেনে নেননি। তাই ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে সবসময়ই উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের নেতৃত্বে অনেক আন্দোলন গড়ে উঠে। এ সকল আন্দোলনের মধ্যে সৈয়দ আহমদ ব্রেলভীর নেতৃত্বাধীন আন্দোলন ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৮১৪ খ্রীঃ শিখদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেন। ১৮৩১ খ্রীঃ মে মাসের ৬ তারিখ, রোজ শুক্রবার, ১২৪৬ হিজরীর ২০ জিলক্বদ, মাটিকোটের উত্তর দিকে শিখ সৈন্যদের অগ্রযাত্রা দেখা গেল। তাদের গতি বালাকোট প্রান্তরের দিকে। বালাকোট প্রান্তরে শুরু হল মুসলিম ও শিখ সৈন্যদের এক অসম যুদ্ধ। এই যুদ্ধে এক জন মুসলিম একশত জন শিখ সৈন্যের মোকাবিলা করতে করতে শাহাদাত বরণ করলেন। দুপুর ১১ বা ১২ টার দিকে গুলির আঘাতে মারাত্মক জখম হয়ে মাটিকোটের খালের তীরে সৈয়দ আহমদ ব্রেলভী শাহাদাত বরণ করেন। তাই ৬ মে কে বালাকোট দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
হাজার বছরের মুসলিম শাসনের পর এক প্রকার দুঃস্বপ্নের মত উপমহাদেশে ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়। ইংরেজ শাসন প্রতিষ্ঠার কারণে মূলত মুসলমানরাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তাই আলেম সমাজ ইংরেজ শাসনকে কখনই মেনে নেননি। তাই ইংরেজ শাসনের বিরুদ্ধে সবসময়ই উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থানে মুসলমানদের নেতৃত্বে অনেক আন্দোলন গড়ে উঠে। এ সকল আন্দোলনের মধ্যে সৈয়দ আহমদ ব্রেলভীর নেতৃত্বাধীন আন্দোলন ছিল উল্লেখযোগ্য। তিনি ১৮১৪ খ্রীঃ শিখদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র সংগ্রাম শুরু করেন। ১৮৩১ খ্রীঃ মে মাসের ৬ তারিখ, রোজ শুক্রবার, ১২৪৬ হিজরীর ২০ জিলক্বদ, মাটিকোটের উত্তর দিকে শিখ সৈন্যদের অগ্রযাত্রা দেখা গেল। তাদের গতি বালাকোট প্রান্তরের দিকে। বালাকোট প্রান্তরে শুরু হল মুসলিম ও শিখ সৈন্যদের এক অসম যুদ্ধ। এই যুদ্ধে এক জন মুসলিম একশত জন শিখ সৈন্যের মোকাবিলা করতে করতে শাহাদাত বরণ করলেন। দুপুর ১১ বা ১২ টার দিকে গুলির আঘাতে মারাত্মক জখম হয়ে মাটিকোটের খালের তীরে সৈয়দ আহমদ ব্রেলভী শাহাদাত বরণ করেন। তাই ৬ মে কে বালাকোট দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
শহীদ দিবসঃ
১৯৮২ সালের ১১ মার্চ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পশ্চিম চত্বরে ইসলামী ছাত্রশিবিরের
উদ্যোগে নবীনবরণ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠান শুরু হলে
ছাত্রমৈত্রী, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন ও জাসদ ছাত্রলীগের সম্মিলিত ও সুপরিকল্পিত
সশস্ত্র হামলায় শাহাদাত বরণ করেন শাবি্বর আহমদ, আব্দুল হামিদ, আব্দুল জব্বার ও আইয়ূব আলী। গুরুতর আহত আব্দুল জব্বার ভাই চিকিৎসারত অবস্থায় ২৮ ডিসেম্বর শাহাদাত বরণ করেন। আল্লাহর জমিনে আল্লাহর আইন প্রতিষ্ঠার আন্দোলনের জন্য তাদের এই জীবনদানকে স্বরণীয় করে রাখতে এই দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
বিভিন্ন মতবাদ
১. বস্তুবাদঃ বস্তু সকল শক্তি
ও ক্ষমতার মূল। বস্তুর উন্নতি সাধনের মাধ্যমেই রাষ্ট্র। সমাজ তথা বিশ্বের সামগ্রীক
উন্নতি সাধন সম্ভব। এই মতবাদ অনুযায়ী ৫টি বিষয়ে বিশ্বাস স্থাপন হচ্ছে চরম বোকামী।
এগুলো হলোঃ
ক. সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাস, খ. ধর্মগ্রন্থে বিশ্বাস, গ. তীর্থ স্থান ভ্রমন, ঘ. কৃচ্ছতা সাধন বা উপবাস
যাপন ও, ঙ. পরকাল বা পূণর্জন্মবাদে বিশ্বাস।
নাস্তিক্যবাদের মূল ভিত্তি হলো এই বস্তুবাদ।
পৃথিবীতে যত ভ্রান্ত মতবাদ রয়েছে তার অধিকাংশের মূলে রয়েছে বস্তুবাদ। সমাজতন্ত্র,ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ, পুঁজিবাদ এবং পাশ্চাত্যের গনতন্ত্রের মূল ভিত্তিও বস্তুবাদ। বস্তুবাদ মানুষকে নীতিহীন বর্বর জানোয়ারে পরিনত করতে পারে। জাতিয়তাবাদের ভয়াবহতার বিস্তার বস্তুবাদের উপর বিশ্বাসের কারনেই ঘটে থাকে।
২.গনতন্ত্রঃ এমন এক রাজনৈতিক ব্যাবস্থা যেখানে দেশের সর্বময় কতৃত্ব একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রতিনিধির কাছে থাকে এবং এই প্রতিনিধিরা জনগন কতৃক নর্বাচিত হয়ে থাকে। গনতন্ত্রকে প্রধানতঃ দুই ভাগে ভাগ করা হয় যেমনঃ ক. প্রত্যক্ষ গনতন্ত্র ও খ. পরোক্ষ গনতন্ত্র
দুর্বলতাঃ
১. জনগন সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক নয়। যদিও গনতন্ত্রে তাই দাবী করা হয়।
২. জনগন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেনা।
৩. নির্বাচিত ব্যক্তিদের মাঝে স্বৈরাচারী মনোভাবের বিকাশ ঘটে।
৪. কেবলমাত্র রাজনৈতিক মতবাদ। কোন পরিপূর্ন জীবন ব্যবস্থা নয়।
৫. গনতন্ত্রের বহুমুখী চরিত্রের কারনে এর প্রাতিষ্ঠানিকরুপ স্থায়ীত্ব পায়না।
৩. জাতীয়তাবাদঃ জাতীয়তাবাদ এমন একটি মতবাদ যা একটি জনপদের মানুষের ভাষা, বর্ণ, ধর্ম, অঞ্চল, সংস্কৃতি প্রভৃতি সেন্টিমেন্টের উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে। যেমন বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, কৃষ্ণাঙ্গ বা স্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ, নাৎসীবাদ, ফ্যাসিবাদ, হিন্দু বা মুসলিম জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি।
দুর্বলতাঃ
১. নিজের জাতির প্রতি অন্ধ ভালবাসার কারনে অপর জাতির লোকেরা নিগৃহিত হয়।
২. নিজের জাতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য অপরের সকল অধিকার হরনে কুন্ঠিত হয় না।
৩. জাতির উপর জাতির কৃতত্ব, দখলদারিত্ব, যুদ্ধ,আগ্রাসন সকল কিছুর মূলে কাজ করে এই জাতীয়তাবাদ।
৪. মানবতাবাদের চরম দুশমন এ মতবাদটি কোন একটি জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে পৌছাতে পারলেও প্রকৃত প্রস্তাবে এই উন্নতি বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি।
পৃথিবীতে যত ভ্রান্ত মতবাদ রয়েছে তার অধিকাংশের মূলে রয়েছে বস্তুবাদ। সমাজতন্ত্র,ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ, পুঁজিবাদ এবং পাশ্চাত্যের গনতন্ত্রের মূল ভিত্তিও বস্তুবাদ। বস্তুবাদ মানুষকে নীতিহীন বর্বর জানোয়ারে পরিনত করতে পারে। জাতিয়তাবাদের ভয়াবহতার বিস্তার বস্তুবাদের উপর বিশ্বাসের কারনেই ঘটে থাকে।
২.গনতন্ত্রঃ এমন এক রাজনৈতিক ব্যাবস্থা যেখানে দেশের সর্বময় কতৃত্ব একটি নির্দিষ্ট সংখ্যক প্রতিনিধির কাছে থাকে এবং এই প্রতিনিধিরা জনগন কতৃক নর্বাচিত হয়ে থাকে। গনতন্ত্রকে প্রধানতঃ দুই ভাগে ভাগ করা হয় যেমনঃ ক. প্রত্যক্ষ গনতন্ত্র ও খ. পরোক্ষ গনতন্ত্র
দুর্বলতাঃ
১. জনগন সার্বভৌম ক্ষমতার মালিক নয়। যদিও গনতন্ত্রে তাই দাবী করা হয়।
২. জনগন সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহন করতে পারেনা।
৩. নির্বাচিত ব্যক্তিদের মাঝে স্বৈরাচারী মনোভাবের বিকাশ ঘটে।
৪. কেবলমাত্র রাজনৈতিক মতবাদ। কোন পরিপূর্ন জীবন ব্যবস্থা নয়।
৫. গনতন্ত্রের বহুমুখী চরিত্রের কারনে এর প্রাতিষ্ঠানিকরুপ স্থায়ীত্ব পায়না।
৩. জাতীয়তাবাদঃ জাতীয়তাবাদ এমন একটি মতবাদ যা একটি জনপদের মানুষের ভাষা, বর্ণ, ধর্ম, অঞ্চল, সংস্কৃতি প্রভৃতি সেন্টিমেন্টের উপর নির্ভর করে গড়ে ওঠে। যেমন বাঙ্গালী জাতীয়তাবাদ, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, কৃষ্ণাঙ্গ বা স্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদ, নাৎসীবাদ, ফ্যাসিবাদ, হিন্দু বা মুসলিম জাতীয়তাবাদ ইত্যাদি।
দুর্বলতাঃ
১. নিজের জাতির প্রতি অন্ধ ভালবাসার কারনে অপর জাতির লোকেরা নিগৃহিত হয়।
২. নিজের জাতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠার জন্য অপরের সকল অধিকার হরনে কুন্ঠিত হয় না।
৩. জাতির উপর জাতির কৃতত্ব, দখলদারিত্ব, যুদ্ধ,আগ্রাসন সকল কিছুর মূলে কাজ করে এই জাতীয়তাবাদ।
৪. মানবতাবাদের চরম দুশমন এ মতবাদটি কোন একটি জাতিকে উন্নতির চরম শিখরে পৌছাতে পারলেও প্রকৃত প্রস্তাবে এই উন্নতি বিশ্ব শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য চরম হুমকি।
জাতীয়তাবাদ ও ইসলামঃ
১. ইসলাম ও জাতীয়তাবাদ পরষ্পর বিরুধী ২টি আর্দশ।
২. ইসলামের উদ্দেশ্য হলো একটা বিশ্ব রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
৩. জাতীয়তাবাদ মানুষের মধ্যে র্পাথক্য সূচিত করে।
৪. মানুষ ও মানুষের মধ্যে ইসলাম কোন বৈষয়কি,বস্তু ভিত্তিক,ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য র্পাথক্য করে না। ইসলামরে দৃষ্টিতে সকল মানুষ একই মুল হতে উদ্ভুত।
৫. মানুষরে কলেমা এক ও অভিন্ন,কালিমা লা ইলাহা এর ভিত্তিতিই বন্ধুত্ব ও শত্রুতা হবে।
৬. এই কালেমা যাকে বিচ্ছিন্ন করে তাকে রক্ত, মাটি,ভাষা, র্বণ, অন্ন, শাসনব্যবস্থা ও আত্বীয়তা প্রভৃতি কোনটায় সংযুক্ত করতে পারে না।
৭. ইসলামরে দৃষ্টিতে কোন ভাষা, র্বণ, গোত্র, ধন সম্পত্তি কোনটায় বষৈম্য সৃষ্টি করতে পারে না।
৮. ইসলাম মানুষকে একই মাবুদরে উপাসনা করতে আহবান জানায়।
৯. ইসলাম একটি র্সাবজনীন আর্ন্তজাতিক র্ধম ও আর্দশ হওয়ার কারণে জাতীয়তাবাদরে সংর্কীণতাকে সর্মথন করে না।
১০. ইসলাম মানুষকে একই আকীদা, নৈতিকতা, ন্যায়-নীতী খোদাভীতির ভিত্তিতে গড়ে তুলে।
১১. ইসলাম রাজনীতী, র্অথনীতী, সংস্কৃতি ,ইবাদাত বন্দগেীর ক্ষেত্রে কোন বষৈম্য সৃষ্টি করে না।
১২. ইসলামী আর্দশরে অনুসারীদরে জাতী গোষ্ঠী,সম্প্রদয়রে মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করার সুযোগ নইে
১৩. ইসলাম মাটি, মানুষ, বংশ, জাতিগত ভেদাভেদ ও বৈষম্যের দোয়ার ভেঙ্গে সকল মানূষকে একই আর্দশরে পতাকা তলে সমবেত করে ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে একটি র্সাবজনীন কল্যাণ রাষ্ট্র কায়মে করতে চাই।
জাতীয়তাবাদ সর্ম্পকে মাওলানা মওদুদী বলনে,
- জাতীয়তাবাদ ও ইসলাম নিজ নিজ লক্ষ-উদ্দশ্যে, ভাবধারার দিক দিয়ে পরষ্পর বিরোধী।
- যেখানে জাতীয়তাবাদ আছে সেখানে ইসলামের স্থান নেই।
- মুসলমানদের হৃদয়ের এক প্রান্ত দিয়ে যখন জাতীয়তাবাদের চেতনা অনুপ্রবেশ করে তখন অন্য প্রান্ত দিয়ে ইসলাম নিষ্ক্রিয় হয়।
- জাতীয়তাবাদের বিকাশ র্অথ হলো ইসলামের প্রসার ও প্রচারের পথ রুদ্ধ করা।
- ইসলামের চুড়ান্ত ল্যক্ষ হচ্ছে দেশ, জাতী ও র্বণ ভিত্তিক র্পাথক্য দূরীভূত করে একটি আর্দশ ভিত্তিক বিশ্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করা।
১. ইসলাম ও জাতীয়তাবাদ পরষ্পর বিরুধী ২টি আর্দশ।
২. ইসলামের উদ্দেশ্য হলো একটা বিশ্ব রাষ্ট্র ব্যবস্থা গড়ে তোলা।
৩. জাতীয়তাবাদ মানুষের মধ্যে র্পাথক্য সূচিত করে।
৪. মানুষ ও মানুষের মধ্যে ইসলাম কোন বৈষয়কি,বস্তু ভিত্তিক,ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য র্পাথক্য করে না। ইসলামরে দৃষ্টিতে সকল মানুষ একই মুল হতে উদ্ভুত।
৫. মানুষরে কলেমা এক ও অভিন্ন,কালিমা লা ইলাহা এর ভিত্তিতিই বন্ধুত্ব ও শত্রুতা হবে।
৬. এই কালেমা যাকে বিচ্ছিন্ন করে তাকে রক্ত, মাটি,ভাষা, র্বণ, অন্ন, শাসনব্যবস্থা ও আত্বীয়তা প্রভৃতি কোনটায় সংযুক্ত করতে পারে না।
৭. ইসলামরে দৃষ্টিতে কোন ভাষা, র্বণ, গোত্র, ধন সম্পত্তি কোনটায় বষৈম্য সৃষ্টি করতে পারে না।
৮. ইসলাম মানুষকে একই মাবুদরে উপাসনা করতে আহবান জানায়।
৯. ইসলাম একটি র্সাবজনীন আর্ন্তজাতিক র্ধম ও আর্দশ হওয়ার কারণে জাতীয়তাবাদরে সংর্কীণতাকে সর্মথন করে না।
১০. ইসলাম মানুষকে একই আকীদা, নৈতিকতা, ন্যায়-নীতী খোদাভীতির ভিত্তিতে গড়ে তুলে।
১১. ইসলাম রাজনীতী, র্অথনীতী, সংস্কৃতি ,ইবাদাত বন্দগেীর ক্ষেত্রে কোন বষৈম্য সৃষ্টি করে না।
১২. ইসলামী আর্দশরে অনুসারীদরে জাতী গোষ্ঠী,সম্প্রদয়রে মধ্যে বৈষম্য সৃষ্টি করার সুযোগ নইে
১৩. ইসলাম মাটি, মানুষ, বংশ, জাতিগত ভেদাভেদ ও বৈষম্যের দোয়ার ভেঙ্গে সকল মানূষকে একই আর্দশরে পতাকা তলে সমবেত করে ভ্রাতৃত্বের মাধ্যমে একটি র্সাবজনীন কল্যাণ রাষ্ট্র কায়মে করতে চাই।
জাতীয়তাবাদ সর্ম্পকে মাওলানা মওদুদী বলনে,
- জাতীয়তাবাদ ও ইসলাম নিজ নিজ লক্ষ-উদ্দশ্যে, ভাবধারার দিক দিয়ে পরষ্পর বিরোধী।
- যেখানে জাতীয়তাবাদ আছে সেখানে ইসলামের স্থান নেই।
- মুসলমানদের হৃদয়ের এক প্রান্ত দিয়ে যখন জাতীয়তাবাদের চেতনা অনুপ্রবেশ করে তখন অন্য প্রান্ত দিয়ে ইসলাম নিষ্ক্রিয় হয়।
- জাতীয়তাবাদের বিকাশ র্অথ হলো ইসলামের প্রসার ও প্রচারের পথ রুদ্ধ করা।
- ইসলামের চুড়ান্ত ল্যক্ষ হচ্ছে দেশ, জাতী ও র্বণ ভিত্তিক র্পাথক্য দূরীভূত করে একটি আর্দশ ভিত্তিক বিশ্ব রাষ্ট্র প্রতিষ্টা করা।
৪. ধর্মনিরপেক্ষতাবাদঃ এটা এমন এক রাষ্ট্রচিন্তা যার
কোথাও ধর্মীয় বিশ্বাসের অস্তিত্ব স্বীকার করা হয়
না। রাষ্ট্র সীমিত মাত্রায় ব্যক্তি পর্যায়ে ধর্ম পালনের স্বীকৃতি দিলেও এটি
একটি বস্তুবাদী রাজনৈতিক দর্শন যা ধর্মকে নির্মূল
করার সকল পদক্ষেপই গ্রহন করে থাকে।
দুর্বলতাঃ
১. রাষ্ট্রযন্ত্র ধর্মকে নিরুতসাহিত ও নিষিদ্ধ করে।
২. রাষ্ট্রের উপর ধর্ম বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কতৃত্ব কঠোরভাবে দমন করে।
৩. এ মতবাদটি রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের বিষয়ে আলোচনা করে।
৪. এটি একটি অসম্পূর্ণ মতবাদ যা মানব জীবনের অন্য কোন সমস্যা সম্পর্কে কোন সমাধানই দিতে পারেনা।
৫. সমাজতন্ত্র ও কমিউনিজিমঃ যে ধরনের রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সকল সম্পদ ও ক্ষমতার মালিক রাষ্ট্র, ব্যক্তিমালিকানা ও সম্পদ অর্জন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ, সবাই রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে, রাষ্ট্র জনগনের নূন্যতম চাহিদাপূরন করে সেই রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সমাজতন্ত্র বলা যায়। এটি একটি বস্তুবাদ নির্ভর নাস্তিক্যবাদী মতবাদ।
দুর্বলতাঃ
১. ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতা কঠোরভাবে দমন করা হয়।
২. ধর্মীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
৩. দল বা শাসকশ্রেনী চরম স্বৈরাচারী হয়ে থাকে। ভোগ-বিলাসের ক্ষেত্রে তারা নিরংকুষ কতৃত্ব ভোগ করে থাকে।
৪. মানুষের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ আদায় করা হলেও মজুরী ও সন্মান সবার সমান।
৫. কেবলমাত্র অর্থনৈতিক দর্শন। মানব জীবনের সামগ্রীক সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ।
৬. পুঁজিবাদঃ ব্যক্তিমালিকানা এই মতবাদের মূলভিত্তি। এ ব্যবস্থায় ব্যক্তিই সম্পদের মালিক। এতে অন্যের কারো কোন রকম অধিকার নেই। ব্যক্তি স্বার্থপরতার নিকৃষ্টতম উদাহরন পুজিবাদ।
দুর্বলতাঃ
১. সমাজে ধনী ও দরিদ্রের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টিকরে।
২. পুজিপতিরাই রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে।
৩. বুর্জোয়া ও প্রলেতারিয়েত শ্রেনীর মাঝে দ্ধন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
৪. সুদ এই অর্থনীতির মূল হাতিয়ার।
৫. আয় বা ব্যয়ের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র, সমাজ বা নৈতিকতার কোন বাধাই পূঁজিপতিদের নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা রাখেনা।
৬. এটি কোন জীবন দর্শন নয় বরং সম্পূর্ণভাবে এটি অর্থনৈতিক মতবাদ।
ইসলামঃ
১. অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত সকল যুগেই ইসলাম শ্রেষ্টতম ও একমাত্র নির্ভুল জীবন ব্যবস্থা।
২. ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দ্বীন।
৩. যুগে যুগে নবী রাসূলগন মানবজাতীর কাছে এই দ্বীনকে তুলে ধরেছেন। আমাদের নবী হযরর মুহাম্মদ (সঃ) এর আগমনের মাধ্যমে নবী রাসূল প্রেরণের সিলসিলার পরিসমাপ্তি ঘটেছে।
৪. ইসলাম পরপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। যার অনুসরন মানুষের ইহকালে শান্তিনিরাপত্তা ও সন্মান নিশ্চিত করে।একইভাবে পরকালীন নাযাতের পথ প্রদর্শন করে।
৫. ইসলাম মানবজাতীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যাসহ সকল সমস্যার নিশ্চিত ও শ্রেষ্টতম সমাধান দিতে সক্ষম।
অতএব ইসলামই মানব জাতীর মুক্তির একমাত্র পথ।
দুর্বলতাঃ
১. রাষ্ট্রযন্ত্র ধর্মকে নিরুতসাহিত ও নিষিদ্ধ করে।
২. রাষ্ট্রের উপর ধর্ম বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কতৃত্ব কঠোরভাবে দমন করে।
৩. এ মতবাদটি রাষ্ট্রের সাথে ধর্মের বিষয়ে আলোচনা করে।
৪. এটি একটি অসম্পূর্ণ মতবাদ যা মানব জীবনের অন্য কোন সমস্যা সম্পর্কে কোন সমাধানই দিতে পারেনা।
৫. সমাজতন্ত্র ও কমিউনিজিমঃ যে ধরনের রাষ্ট্র বা রাজনৈতিক ব্যবস্থায় সকল সম্পদ ও ক্ষমতার মালিক রাষ্ট্র, ব্যক্তিমালিকানা ও সম্পদ অর্জন সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ, সবাই রাষ্ট্রের জন্য কাজ করে, রাষ্ট্র জনগনের নূন্যতম চাহিদাপূরন করে সেই রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে সমাজতন্ত্র বলা যায়। এটি একটি বস্তুবাদ নির্ভর নাস্তিক্যবাদী মতবাদ।
দুর্বলতাঃ
১. ব্যক্তির মত প্রকাশের স্বাধীনতা কঠোরভাবে দমন করা হয়।
২. ধর্মীয় কার্যক্রম সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ করা হয়।
৩. দল বা শাসকশ্রেনী চরম স্বৈরাচারী হয়ে থাকে। ভোগ-বিলাসের ক্ষেত্রে তারা নিরংকুষ কতৃত্ব ভোগ করে থাকে।
৪. মানুষের যোগ্যতা অনুযায়ী কাজ আদায় করা হলেও মজুরী ও সন্মান সবার সমান।
৫. কেবলমাত্র অর্থনৈতিক দর্শন। মানব জীবনের সামগ্রীক সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ।
৬. পুঁজিবাদঃ ব্যক্তিমালিকানা এই মতবাদের মূলভিত্তি। এ ব্যবস্থায় ব্যক্তিই সম্পদের মালিক। এতে অন্যের কারো কোন রকম অধিকার নেই। ব্যক্তি স্বার্থপরতার নিকৃষ্টতম উদাহরন পুজিবাদ।
দুর্বলতাঃ
১. সমাজে ধনী ও দরিদ্রের মাঝে বৈষম্য সৃষ্টিকরে।
২. পুজিপতিরাই রাষ্ট্রকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে।
৩. বুর্জোয়া ও প্রলেতারিয়েত শ্রেনীর মাঝে দ্ধন্দ্ব সৃষ্টি হয়।
৪. সুদ এই অর্থনীতির মূল হাতিয়ার।
৫. আয় বা ব্যয়ের ক্ষেত্রে রাষ্ট্র, সমাজ বা নৈতিকতার কোন বাধাই পূঁজিপতিদের নিয়ন্ত্রনের ক্ষমতা রাখেনা।
৬. এটি কোন জীবন দর্শন নয় বরং সম্পূর্ণভাবে এটি অর্থনৈতিক মতবাদ।
ইসলামঃ
১. অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত সকল যুগেই ইসলাম শ্রেষ্টতম ও একমাত্র নির্ভুল জীবন ব্যবস্থা।
২. ইসলাম আল্লাহর মনোনীত একমাত্র দ্বীন।
৩. যুগে যুগে নবী রাসূলগন মানবজাতীর কাছে এই দ্বীনকে তুলে ধরেছেন। আমাদের নবী হযরর মুহাম্মদ (সঃ) এর আগমনের মাধ্যমে নবী রাসূল প্রেরণের সিলসিলার পরিসমাপ্তি ঘটেছে।
৪. ইসলাম পরপূর্ণ জীবন ব্যবস্থা। যার অনুসরন মানুষের ইহকালে শান্তিনিরাপত্তা ও সন্মান নিশ্চিত করে।একইভাবে পরকালীন নাযাতের পথ প্রদর্শন করে।
৫. ইসলাম মানবজাতীর ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক সমস্যাসহ সকল সমস্যার নিশ্চিত ও শ্রেষ্টতম সমাধান দিতে সক্ষম।
অতএব ইসলামই মানব জাতীর মুক্তির একমাত্র পথ।
সমাজতন্ত্রের মূল তত্ত্ব হল একটি সামাজিক-অর্থনৈতিক ব্যবস্থা যেখানে সম্পদ ও অর্থের মালিকানা সামাজিক
নিয়ন্ত্রণাধীন। সমাজতন্ত্রী ব্যবস্থায় জনসাধারণের প্রয়োজন অনুসারে পণ্য উৎপাদন
হয়। সমাজতন্ত্র কমিউনিস্ট সমাজের প্রথম পর্যায়। উৎপাদনের উপায়ে সমাজতান্ত্রিক
মালিকানা হলো এর অর্থনৈতিক ভিত্তি। সমাজতন্ত্র উৎখাত ঘটায় ব্যক্তিগত মালিকানার
এবং মানুষে মানুষে শোষণের,
বিলোপ ঘটায় অর্থনৈতিক সঙ্কটের ও বেকারির, উন্মুক্ত
করে উৎপাদনী শক্তির পরিকল্পিত বিকাশ ও উৎপাদন সম্পর্কের পূর্ণতর রূপদানের
প্রান্তর। সমাজতন্ত্রের আমলে সামাজিক উৎপাদনের লক্ষ্য_ জনগণের
স্বচ্ছলতা বৃদ্ধি ও সমাজের প্রতিটি লোকের সার্বিক বিকাশ। সমাজতন্ত্রের মুলনীতি হলো
প্রত্যেকে কাজ করবে তার সামর্থ্য অনুযায়ী এবং প্রত্যেকে গ্রহণ করবে তার প্রয়োজন
অনু্যায়ী। সমাজতন্ত্র দুই ধরনেরঃ ইউটোপীয় সমাজতন্ত্র ও বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র।
সোভিয়েত ইউনিয়ন-এ সমাজতান্ত্রিক রাষ্ট্র কায়েম করা হয়েছিলো ১৯১৭ সালে।
গণতন্ত্র (শব্দার্থে
"জনগণের শাসন", গ্রিক ভাষার "δήμος",
"জনগণ", "Κράτος", "শাসন", থেকে) হল কোন জাতিরাষ্ট্রের (অথবা কোন সংগঠনের) এমন একটি
শাসনব্যবস্থা যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের নীতিনির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমান ভোট বা অধিকার আছে।
যদিও শব্দটি সাধারণভাবে একটি রাজনৈতিক রাষ্ট্রের ক্ষেত্রেই প্রয়োগ করা হয়
তবে অন্যান্য সংস্থা বা সংগঠনের ক্ষেত্রেও এটা
প্রযোজ্য, যেমন বিশ্ববিদ্যালয়, শ্রমিক ইউনিয়ন, রাষ্ট্রমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান
ইত্যাদি।
স্বৈরতন্ত্রছ স্বৈরতন্ত্র হচ্ছে একজনের শাসন।যখন কোনো শাসক একাই স্বেচ্ছাচারীভাবে কোনো রাষ্ট্র শাসন ও পরিচালনা করে তখন তাকে স্বৈরতন্ত্র বলা হয়। যখন রাষ্ট্রে এক ব্যক্তির ক্ষমতার মাধ্যমে সকল কাজ সম্পন্ন হয় তাই স্বৈরশাসন।
ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ: ইংরেজী সেকিউলারিজম শব্দ থেকেই এর অনুবাদ। ধর্মীয় প্রবণতাকে মানুষের ব্যক্তি
জীবনে সীমাবদ্ধ রেখে সমাজ জীবনের সকল দিক ও বিভাগকে আল্লাহ ও রাসূলের প্রভাব থেকে
মুক্ত রাখার নামই ধর্মনিরপেক্ষতা। সামাজিক, রাজনৈতিক, অথনৈতিক ও আন্তর্জাতিক
ক্ষেত্রে ধর্মকে পরিত্যাগ করাই এর উদ্দেশ্য।
মুসলিম প্রধান দেশে সর্বপ্রথম মোস্তফা
কামাল পাশাই তুরস্কে এই মতবাদ প্রতিষ্ঠা করে।
Bmjvg
ebvg MYZন্ত্র
µwgK
bs
|
Bmjvg
|
MYZš¿
|
1
|
Bmjv‡g Avল্লvnB
mKj ক্ষgZvi Drm
|
MYZ‡š¿ RbMYB mKj ক্ষgZvi
Drm
|
2
|
Bmjvg Avল্লvni
†`qv c~Y©v½ Rxeb e¨e¯’v
|
MYZš¿ Bû`x-L„÷vb‡`i
‰Zwi Am¤ú~b© Rxeb e¨e¯’v
|
3
|
Bmjvgx iv‡óªi wfwË Avল্লvni
mve©‡fŠgZ¡
|
MYZ‡š¿i wfwË gvby‡li
mve©‡fŠgZ¡
|
4
|
Bmjv‡g Avল্লvni
Awস্বZ¡ Ab¯^xKvh©
|
MYZ‡š¿ Avল্লvni
Awস্বZ¡ D‡cwক্ষZ
|
5
|
Bmjv‡gi jক্ষ¨
AvwZ¥K I cvw_©e Dন্নwZ
|
MYZ‡š¿i jক্ষ¨
ïay ক্ষgZvi ivRbxwZ
|
6
|
Bmjv‡g gvbyl ïay Avল্লvni
†Mvjvg
|
MYZ‡š¿ gvbyl gvby‡li
†Mvjvg
|
7
|
Bmjv‡g AvB‡bi Drm
KziAvb I myন্নvn&
|
MYZ‡š¿ AvB‡bi Drm
gvby‡li †Lqvj Lywk
|
8
|
Bmjv‡g †gŠwjK AvBb
AcwieZ©bxq
|
MYZ‡š¿ †h †Kvb AvBb
cwieZ©b‡hvM¨
|
9
|
Bmjv‡gi wkক্ষv
gvby‡l gvby‡l åvZ…Z¡
|
MYZ‡š¿i wkক্ষv
gvby‡l gvby‡l A‰bK¨
|
10
|
Bmjv‡g †bZ…‡Z¡i wfwË
Ávb I Avল্লvn fxwZ
|
MYZ‡š¿ †bZ…‡Z¡i wfwË mস্তv
Rbmg_©b
|
11
|
Bmjv‡gi jক্ষ¨
Ryjyg-†kvl‡Yi Aemvb
|
MYZ‡š¿i jক্ষ¨
c~uwRev`x †kvlY cÖwZcvcjb
|
12
|
Bmjv‡g b¨vq-Ab¨vq
wPiZ‡i wba©vwiZ
|
MYZ‡š¿ b¨vq-bxwZ me©`v
D‡cwক্ষZ
|
13
|
Bmjv‡g mKj cv‡ci c_
wPiZ‡i eÜ
|
MYZ‡š¿ me iKg cv‡ci c_
Db¥y³
|
14
|
Bmjv‡g ˆbwZK PwiÎ
Ab¯^xKvh©
|
MYZ‡š¿ ˆbwZK B”Qv ¸‡jv
Awbevh©
|
15
|
Bmjv‡gi wkক্ষv
wbt¯^v_© AvZ¥Z¨vM
|
MYZ‡š¿i
wkক্ষv e¨vw³¯^v_© †fvMev`
|
ইসলামের বিভিন্ন যুদ্ধ সমূহ, হুদায়বিয়ার সন্ধি, মক্কা বিজয়
১.বদর যুদ্ধ
বদর যুদ্ধ দ্বিতীয় হিজরীর
১৭ রমযান মোতাবেক ৬২৪ খ্রীঃ ১৪ মার্চ,
শুক্রবার
দিন সংঘটিত হয়। আবু জেহেলের নেতৃত্বে মক্কার কাফির মুশরিকরা ১০০০ সৈন্য নিয়ে মদীনা আক্রমণের
জন্য আসছে এই সংবাদ পেয়ে রাসূল (সঃ) সকলের পরামর্শক্রমে ৩১৩ জন সাহাবীর একটি দল নিয়ে মদীনা থেকে ৮০ মাইল দূরে বদর প্রান্তরে উপনীত হন। উভয়
পক্ষের মাঝে এক রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ সংঘটিত হয়।
যুদ্ধের
ফলাফলঃ
১. কাফিররা শোচনীয়ভাবে
পরাজিত হয়।
২. মুসলমানরা এক সর্বাত্মক
বিজয় লাভ করে।
৩. মুসলমানদের ১৪ জন শহীদ
হন।
৪. কাফেরদের ৭০ জন নিহত হয়
এবং ৭০ জন বন্দী হয়।
৫. প্রসিদ্ধ কুরাইশ
নেতৃবৃন্দ নিহত হন।
৬. মুসলমানরা প্রচুর গণীমত
লাভ করে।
২.উহুদ
যুদ্ধ
বদর যুদ্ধে পরাজয়ের
প্রতিশোধ নেয়ার জন্য হিজরী তৃতীয় বর্ষে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে ৩০০০ সৈন্যের (৩০০ উষ্ট্রারোহী ও ২০০ অশ্বারোহী)
একটি দল মদীনা আক্রমণের জন্য
মদীনা থেকে ৫ মাইল পশ্চিমে উহুদ উপত্যকায় উপস্থিত হয়। সকলের পরামর্শক্রমে রাসূল (সঃ) ১০০ বর্মধারী ও ৫০ জন তীরন্দাজসহ
১০০০ সৈন্যের একটি দল নিয়ে উহুদ
প্রান্তরের দিকে রওয়ানা হন। পথিমধ্যে মুনাফিকরা ৩০০ সৈন্য নিয়ে বাহিনী ছেড়ে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত ৭০০ মুজাহিদ
নিয়ে রাসূল (সঃ) উহুদ প্রান্তরে
কাফেরদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ণ হন।
যুদ্ধে প্রথমে মুসলমানরা বিজয় লাভ করেন। রাসূল (সঃ) পিছনের
দিক সুরক্ষিত রাখার জন্য ৫০ জন
তীরন্দাজের একটি দলকে পাহাড়ের উপর দায়িত্ব দিয়েছিলেন। মুসলমানদের বিজয় হয়ে গেছে ভেবে তীরন্দাজদের ঐ দলটি তাদের জায়গা ছেড়ে চলে আসেন। এই সুযোগে
সুচতুর খালিদ বিন ওয়ালিদ তার দল নিয়ে মুসলমানদের উপর পিছন দিক থেকে আক্রমণ করেন। যার ফলে মুসলমানদের মাঝে
বিপর্যয় দেখা দেয়। কিন্তু তার পরেও
কাফিররা বিজয় অর্জন করতে পারেনি।
যুদ্ধের
ফলাফলঃ
১. উহুদ যুদ্ধ মুসলমানদের
জন্য ছিল ধৈর্য্যের অগি্নপরীক্ষা।
২. উহুদ যুদ্ধের ফলে
মুসলমানদের ঈমান আরো খাঁটি হওয়ার সুযোগ আসে।
৩. এই যুদ্ধে উভয় পক্ষেরই
অনেক ক্ষয়-ক্ষতি হয়। মুসলিম বীর হামযা (রাঃ)
শাহাদাত বরণ করেন। উমর ও
আলী (রাঃ) সহ অনেক সাহাবী আহত হন।
৪. এই যুদ্ধের ফলে
মুসলমানরা আত্মনির্ভরশীল সুশৃঙ্খল জাতিতে পরিণত হয়।
৩. খন্দকের যুদ্ধঃ
মহানবী (সঃ) এর নেতৃত্বে
মুসলমানদের অগ্রগতি অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। তা দেখে মক্কার লোকেরা ৫ম হিজরীর যিলক্বাদ মাস, ৬২৬ খ্রীঃ এপ্রিল মাসে মদীনার ইহুদী ও অন্যান্য আরব গোত্রদের সাথে নিয়ে চূড়ান্তভাবে
মদীনা আক্রমণের
প্রস্তুতি নিল। এই সংবাদ পেয়ে রাসূল (সঃ) সাহাবীদের সাথে পরামর্শ করে অভিজ্ঞ সাহাবী সালমান
ফারসী (রাঃ) এর পরামর্শক্রমে মদীনার অরক্ষিত দিকগুলোতে পরিখা খনন করলেন। কাফিররা ১০০০০ সৈন্যের বিশাল
বাহিনী নিয়ে মদীনা আক্রমণ করল কিন্তু
পরিখা দেখে তারা হতভম্ব হয়ে গেল। রাসূল (সঃ) মাত্র ৩০০০ সৈন্য নিয়ে এই আক্রমণ প্রতিহত করলেন। দীর্ঘ ২৭ দিন কাফিররা
মদীনা অবরোধ করে রাখে।
যুদ্ধের ফলাফলঃ
১. এই যুদ্ধে কাফিররা
ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয় ও পরাজিত হয়।
২. উহুদ যুদ্ধে বিপর্যয়ের মনোকষ্ট দূর হয়।
২. উহুদ যুদ্ধে বিপর্যয়ের মনোকষ্ট দূর হয়।
৩. অভিশপ্ত ইহুদী সমপ্রদায়ের
মুখোশ উম্মোচিত হয় এবং তাদের শাস্তি দেয়া হয়।
হুদায়বিয়ার সন্ধিঃ
রাসূল (সঃ) স্বপ্নে দেখলেন
তিনি কাবা ঘর যিয়ারত করছেন। স্বপ্ন মোতাবেক ৬২৮ খ্রীঃ ১৪০০ সাহাবী নিয়ে রাসূর (সঃ) মক্কা অভিমুখে রওয়ানা হন। কাফেলা যখন হুদায়বিয়া নামক স্থানে
পৌছে তখন মক্কার কাফিররা তাদের গতিরোধ করে এবং মক্কায় প্রবেশ করতে দিতে অস্বীকৃতি জানায়। অবশেষে তারা
রাসূল (সঃ) এর সাথে এক সন্ধি চুক্তিতে
আবদ্ধ হয়। এটাই হুদায়বিয়ার সন্ধি নামে পরিচিত।
সন্ধির শর্তাবলীঃ
১. এ বছর মুসলমানরা হজ্জ্ব
না করেই ফিরে যাবে।
২. পরবর্তী বছর মাত্র তিন
দিনের জন্য মক্কায় অবস্থান করে হজ্জ্ব পালন করতে পারবে।
৩. আত্মরক্ষার জন্য
কেবলমাত্র কোষবদ্ধ তরবারী সাথে আনতে পারবে।
৪. কোন মক্কাবাসী মদীনায় আশ্রয় প্রার্থনা করলে তাকে মদীনায় আশ্রয় দেয়া যাবে না।
৫. কিন্তু কোন মদীনাবাসী মক্কায় আসলে তাকে ফিরিয়ে দিতে মক্কাবাসীরা বাধ্য থাকবে না।
৪. কোন মক্কাবাসী মদীনায় আশ্রয় প্রার্থনা করলে তাকে মদীনায় আশ্রয় দেয়া যাবে না।
৫. কিন্তু কোন মদীনাবাসী মক্কায় আসলে তাকে ফিরিয়ে দিতে মক্কাবাসীরা বাধ্য থাকবে না।
৬. দশ বছরের জন্য মুসলমান
ও মক্কাবাসীরা যুদ্ধ-বিগ্রহ থেকে বিরত থাকবে।
৭. হুদায়বিয়ার সন্ধি ১০
বছর স্থায়ী হবে।
সন্ধির ফলাফলঃ
১. মূলত হুদায়বিয়ার সন্ধি
ছিল মুসলমানদের জন্য এক মহাবিজয় যা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন কোরআনে বর্ণনা করেছেন।
২. এ সন্ধির ফলেই মক্কা
বিজয়সহ ভবিষ্যতে মুসলমানদের অগ্রযাত্রা অপ্রতিরোধ্য গতিতে চলতে থাকে।
তাবুক যুদ্ধঃ
নবম হিজরীর রজব মাস, ৬৩০ সালের নভেম্বর মাসে এই অভিযান সংঘটিত হয়।
সেই সময়ে রোমান সাম্রাজ্য
ছিল পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শক্তি। মু’তার যুদ্ধ সংঘটিত হওয়ার পর থেকে রোম সম্রাট হিরাক্লিয়াস মুসলমানদের গতিবিধি লক্ষ্য
রাখতে শুরু করেন। নবম হিজরীর
সেই সময়ে আরবে দূর্ভিক্ষ ও বিশৃঙ্খলা চলছিল। সুতরাং এই সুযোগে আরব দখল সহজ হবে ভেবে রোম সম্রাট আরব দখল ও ইসলামকে
চিরতরে মুছে ফেলার চক্রান্ত
করেন। তখন রাসূল (সঃ) রোমানদের এক লক্ষ সৈন্যের বিপরীতে ১০ হাজার সৈন্যের এক বাহিনী নিয়ে তাবুক প্রান্তরে অবস্থান নেন।
যুদ্ধের ফলাফলঃ
১. এত সমস্যার পরেও
মুসলমানদের যুদ্ধ প্রস্তুতি দেখে হিরাক্লিয়াস বাহিনী পেছনে হটতে থাকে।
২. অতি গরমের পরেও মুসলিম
বাহিনী ঈমানী শক্তির প্রমাণ উপস্থাপন করেন।
৩. বিভিন্ন রসদ পত্রের সংকট সত্ত্বেও মুসলিম বীরগণ যে ত্যাগ ও কুরবানীর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তা ইতিহাসে আজও বিরল।
৩. বিভিন্ন রসদ পত্রের সংকট সত্ত্বেও মুসলিম বীরগণ যে ত্যাগ ও কুরবানীর দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন তা ইতিহাসে আজও বিরল।
মক্কা বিজয়ঃ
হুদায়বিয়া সন্ধির শর্ত
ভঙ্গ করে কুরাইশদের মিত্র গোত্র বনু বকর মুসলমানদের মিত্র গোত্র বনী খোযায়ার উপর আক্রমণ করে। ফলে বনী খোযায়া
রাসূল (সঃ) এর নিকট অভিযোগ পেশ
করে। ফলে রাসূল (সঃ) কুরাইশদের নিকট তিনটি প্রস্তাব রাখেন। যথাঃ
১. অন্যায়ভাবে হত্যাকৃত
বনু খোযায়া গোত্রের নিহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।
২. আক্রমণকারী বনী বকর গোত্রকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা বন্ধ করে দিতে হবে।
২. আক্রমণকারী বনী বকর গোত্রকে সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা বন্ধ করে দিতে হবে।
৩. হুদায়বিয়ার সন্ধি বাতিল
বলে ঘোষণা করা হোক।
মক্কাবাসীরা শেষোক্ত প্রস্তাব গ্রহণ করে। তাদের সিদ্ধান্তের
কথা অবগত হয়ে রাসূল (সঃ)
মক্কা অভিযানের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন এবং ১০০০০ সৈন্যের
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন